৪৯ বছর পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আল্ট্রাসনোগ্রাম চালু


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, ২রা মার্চ ২০২৩


৪৯ বছর পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আল্ট্রাসনোগ্রাম চালু
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আল্ট্রাসনোগ্রাম চালু

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৪৯ বছর পর অবশেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হলো আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবা। দীর্ঘদিন পর হলেও এই সেবা চালু হওয়ায় সবার মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। খুশি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক মানুষও। সরকার নির্ধারিত ফি প্রদান করে অফিস চলাকালীন সময়ে যে কেউ এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।


সম্প্রতি তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবাটি উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুল ইসলাম খান। 


হাসপাতাল সূত্রে জানায় যায়, তজুমদ্দিনবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সরকার হাসপাতালটি স্থাপন করেন। প্রথমদিকে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট থাকলেও এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবাকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সার্বিক সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ সরকার এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নিতকরণ করেন। 


হাসপাতালে সেবা নিতে আসা তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ফাতেমা বেগম বলেন, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবায় আমাদের আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে অর্থ্যাৎ কোন বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে অনেক টাকা দিয়ে করতে হতো। এখন হাসপাতালে সেবাটি চালু হওয়ায় আমরা ভীষণ উপকৃত হবো।


তজুমদ্দিন উপজেলা সদর চাঁদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ কিরণ এবং উপজেলা  ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. তুহিন তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবা ছিল না। সেটিও আজ চালু হলো। আশা করছি আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবা চালুর মাধ্যমে হাসপাতালটি সেবার মানের দিক থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। সেই সঙ্গে বর্তমান সরকার প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন তারই প্রতিফলন এটি।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুল ইসলাম খান বলেন, উপজেলা পর্যায়ে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমাদের জন্য এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।


তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন দুলাল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এমপি নূরনবী চৌধুরী শাওনের মাধ্যমে আমরা সেই জনসেবা নিশ্চিত করছি। চিকিৎসক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্তরিকতায় প্রান্তিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।