যা হবার হবে; দেশে ফিরবো’: সালাহউদ্দিন আহমেদ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, ২রা মার্চ ২০২৩
বাংলাদেশে ফিরতে মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘যা হবার হবে; দেশে অবশ্যই ফিরতে হবে, দেশে ফিরবো।’
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং এ অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে প্রতিবেদককে এমন কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আগে থেকে আমার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। দেশে ফেরার পর আবারও মামলা হতে পারে। সব বিষয় মাথায় রেখে দেশে ফিরবো। দেশে তো ফিরতেই হবে।’
তবে বাংলাদেশের ফেরার বিষয়টি কখন হবে তা ভারত সরকারের উপর নির্ভর করতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মামলার রায় হওয়ার পর সরকারের উদ্যোগে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
ভারতের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগের ঘোষিত রায় মতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফিরতে আর কোন বাঁধা নেই। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে তিনি খালাস পেয়েছেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর নিম্ন আদালতের রায়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পান। কিন্তু ভারত সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এর ফলে তিনি আর তখন দেশে ফিরতে পারেননি। এর দীর্ঘ চার বছর পর নিম্ন আদালতের ওই রায় বহাল রেখে ভারত সরকারকে দ্রæত সময়ের মধ্যে সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন জজ আদালত।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। এর পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাউদ্দিন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।
আরএক্স/