বিএসএমএমইউতে ওয়ার্ল্ড হেয়ারিং ডে উদযাপন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, ৫ই মার্চ ২০২৩
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শতাধিক সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বিনামূল্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে করে ওই সকল প্রতিবন্ধীরা কানে শুনতে পারছেন ও কথা বলতে পারছেন। যে সকল শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর মা ও বাবা কোনোদিনই তাঁদের প্রিয় সন্তানের মুখে মা ও বাবা ডাকটি শুনতে পেতেন না বর্তমানে তারা তাদের সন্তানের মুখে মা, বাবা ডাক শুনতে পারছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহী ডা. মিলন হলে ওয়ার্ল্ড হেয়ারিং ডে ২০২৩ উপলক্ষে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম বিএসএমএমইউ ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট গ্রুপ অফ বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে সেমিনারের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।
শনিবার (৪ মার্চ) অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, বাংলাদেশ আওয়ায়ী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাক কান বিভাগের অধ্যাপক ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচ এম জহুরুল হক সাচ্চু।
এসকল অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ বলেন, যা কিছু সুন্দর ও মঙ্গলজনক তার প্রতীক মঙ্গল প্রদীপ কখনো নিভে যায় না। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রমও কখনও থেমে যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অন্যন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আছেন বলেই অত্যন্ত ব্যয়বহুল কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম বিনামূল্যে সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করতে যে পরিমাণ টাকা ব্যয় হয় তা একটি টয়েটা গাড়ীর মূল্যের সমান। বর্তমানে তা বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের একটি বড় সাফল্য। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও সহযোগিতার ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফান্ড ৪ কোটি থেকে বৃদ্ধি করে ২২ কোটিতে উন্নীত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমন্বিত গবেষণা ফান্ড থেকে আরো ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। সম্প্রতি ক্যাভাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় সাফল্য। আগামীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবটিক সার্জারি চালু করা হবে এবং রোবটিক ট্রেনিং সেন্টারও গড়ে তোলা হবে।