সিলেটে দৈনিক জনবাণী ফটোকপি করে বিক্রি
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দৈনিক জনবাণীর শেষ পাতায় সিলেট বনবিভাগের সারী রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন ও জাফলংয়ের বিট কর্মকর্তা প্রদীপের বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন অনিয়ম-দুনীতির বিষয়ে চলতি তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে "সিলেট বনবিভাগে অনিয়ম-দুনীতি, তদন্ত কমিটিকে ম্যানেজ'করতে তৎপর সাদ সিন্ডিকেট' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, জাফলং, সারিঘাট, হরিপুর, রাতালগুলসহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল ১০ টার পর থেকে আর পত্রিকা পাওয়া যায়নি।
এমনকি বিভিন্ন হকারকে পত্রিকার ফটোকপি করে বিক্রি করতে দেখা গেছে। সংবাদটি নিয়ে সিলেটে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এদিকে, গত বৃহষ্পতিবার ও শুক্রবার সরেজমিন তদন্ত কার্যক্রমে সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলার বিষয় নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে।
অভিযোগকারীরা দাবী করেছেন, তদন্ত চলাকালে সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকলে অনেক বিষয়ই গণমাধ্যমে চলে আসত। তাই অত্যন্ত সুকৌশলে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
গোয়াইনঘাটে কর্মরত বিভিন্ন দৈনিকের একাধিক প্রতিনিধি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃহস্পৃতিবার তদন্ত চলাকালে আমরা রাতারগুল বিট অফিসে উপস্থিত হলেও রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আমাদেরকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্ঠা করেন। এর পর মোটরঘাট, মুরতাবাগান সহ বিভিন্ন স্থানে তদন্ত কমিটির সদস্যরা সরেজমিন পরিদর্শনে গেলেও সেখানে কোন সাংবাদিককে যেতে দেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট এমন লুকোচুরি খুবই রহস্যজনক।
এদিকে, অভিযোগকারীরা দাবী করেছেন- সাংবাদিকরা ঘটাস্থল সমূহ পরিদর্শন করতে পারলে অনিয়ম ও দুর্নীতির আরো তথ্য প্রমাণ বেরিয়ে আসত।
তাদের দাবী, বিকল্পস্থানে উন্মুক্তভাবে গণশুনানীর আয়োজন করলে এলাকার অনেকেই মুখ খুলে কথা বলবে। কারণ স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণে ঐদিন অনেকেই রাতারগুল বিট অফিসে আসতে পারেনি।
তদন্তের অগ্রগতি সহ সার্বিক বিষয়ে জানতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক এসিএফ আবু বকরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ তৌফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটির সাথে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন।
এসএ/