নোবেল প্রাইজ পাওয়া মানুষের জন্য নাম খয়রাত করে বিজ্ঞাপন কেন?


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪:১৩ এএম, ১৪ই মার্চ ২০২৩


নোবেল প্রাইজ পাওয়া মানুষের জন্য নাম খয়রাত করে বিজ্ঞাপন কেন?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বিকেলে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি: ফোকাস বাংলা

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ৪০ বিদেশি ব্যক্তিত্বের খোলা চিঠিকে ‘বিজ্ঞাপন’ বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


তিনি বলেছেন, ‘এটা বিবৃতি না। এটা একটা বিজ্ঞাপন। ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সেটা আমাদের বিশেষ একজন ব্যক্তির পক্ষে। এর উত্তর কী দেব জানি না। আমার একটা প্রশ্ন আছে, যিনি এত নামি-দামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তার জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে বিজ্ঞাপন দিতে হবে কেন? বিজ্ঞাপন কেন দিতে হলো?’


প্রধানমন্ত্রী সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তার সাম্প্রতিক কাতার সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।


সরকারপ্রধান বলেন, ‘যে যাই হোক। আমার দেশে কতগুলো আইন আছে। সে আইন অনুযায়ী সব চলবে। বিচার বিভাগ স্বাধীন। শ্রমিকদের অধিকার আছে, ট্যাক্স বিভাগ আছে। কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে শ্রমিক আদালত আছে। এই ক্ষেত্রে আমার তো কিছু করার নেই সরকারপ্রধান হিসেবে। আমাকে কেন দিল বুঝতে পারলাম না। পদ্মা সেতু কিন্তু করে ফেলেছি। এইটুকুই বললাম।’


আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিনিয়ত সমালোচনা শুনেই যাচ্ছি। আমরাই সুযোগ করে দিয়েছি। এর আগে তো এত টেলিভিশন ছিল না, এত রেডিও ছিল না। আমরাই সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছি।। দেশ-বিদেশ থেকে বসে বসেও আমাদের সমালোচনা করে। আমাদের করে দেয়া জিনিস দিয়ে আমাদের সমালোচনা করে। আবার শুনতে হয়- কিছুই করিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। তার সুযোগ নিয়ে সমালোচনাও করছে।’


অন্য এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দৃশ্যমান উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম গত ১৫ বছর একটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে।’


অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণই আমাদের মূল শক্তি। জনগণ পাশে ছিল- এ জন্যই উন্নয়ন করতে পেরেছি।

সূত্র: বাসস