বাংলাদেশে এডিবির সহযোগিতা প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ১০:৪০ অপরাহ্ন, ১৪ই মার্চ ২০২৩


বাংলাদেশে এডিবির সহযোগিতা প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহযোগিতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। গত ৫০ বছরে আমাদের উন্নয়নে এডিবির বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে।


মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুম হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া উপস্থিত ছিলেন। 


এডিবির উদার সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। 


শেখ হাসিনা বলেন, “এডিবি আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭৩ সালের জাতির পিতার নেতৃত্বে এডিবির সঙ্গে আমাদের সর্ম্পক প্রতিষ্ঠা হয়। গত ৫০ বছরে আমাদের যে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, কাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক; প্রতিটি ক্ষেত্রে এডিবির বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে। বর্তমানে এডিবির ক্রমবর্ধমান অবদান দাঁড়িয়েছে ২৮.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এডিবির পোর্টফোলিওতে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাহক।”


তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হলো- এই সংকটময় সন্ধিক্ষণে আমরা হতাশ হয়ে লক্ষ্য করছি যে, অনেক অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে। যা বেশিরভাগ প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন অর্থায়নকে অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর করে তুলছে। অর্থাৎ একাধিক অনৈতিক ঘাতটির প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।


সরকারপ্রধান বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত সহজ শর্তে অর্থায়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও উন্নত দেশগুলোকে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। আমরা কারো কাছে কোনো করুণা চাই না, দয়া ভিক্ষা চাই না, আমরা ন্যায্য অধিকার চাই।


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের ভূখণ্ডের নিরাপত্তার স্বার্থে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আক্রমণ। অবশ্য শক্তিতে ছোট হলেও ছেড়ে কথা বলেনি ইউক্রেন। প্রথম দিন থেকেই পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে দেশটি। দুই দেশের মধ্যে তুমুল লড়াইয়ের পর বেলারুশের মধ্যস্থতায় মস্কো ও কিয়েভ একাধিকবার শান্তি আলোচনায় বসলেও কাজ হয়নি।


অনুষ্ঠানে গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে সরকারের গৃহীত নানা উন্নয়ন কাজের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এরইমধ্যে বৃহত্তম প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতা দেখিয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন কর্মমুখী প্রকল্প আমরা করে যাচ্ছি। পদ্মাসেতু নির্মাণ ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরব, মর্যাদা ও যোগ্যতার প্রতীক।


সূত্র: বাসস