সবার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি: শামীম ওসমান


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, ১৬ই মার্চ ২০২৩


সবার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি: শামীম ওসমান
কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাকে প্রশ্ন করেন ‌‘আপনাদের নৌকা মার্কার একজন মেয়রের কাছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা গিয়েছিলেন। তাদের বলা হলো ভাত খেতে পাস না, ফোন কিনিস কীভাবে’। এটার উত্তর আমি দেবো না, আমি উত্তর দেই, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশে কোথাও কেউ ভাত না খেয়ে নেই শেখ হাসিনার আমলে। ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে টাকা নেই, এতো বাড়ি কোথা থেকে হলো সে প্রশ্ন কে করবে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।


বুধবার (১৫ মার্চ) কানাইনগর সোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।


তিনি বলেন, আমরা জানি আমরা নৌকার জন্য ভোট চেয়েছিলাম। আমি নারায়ণগঞ্জের একজন সামান্য কর্মী। আমরা বঙ্গবন্ধুকে চিনেছি তার আদর্শকে চিনেছি। তুই তুকারি আল্লাহ পছন্দ করে না। আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।


তিনি বলেন, পুলিশকে গালি দেন যারা তাদের পুলিশের পাহারায় থাকতে হয়। আমাদের ওসামানীয় সাম্রাজ্য বলা হয়। আমার দাদা এমপি ছিল, বাবা এমপি ছিল। আমরা তিন ভাই এমপি হয়েছি। আমরা সাম্রাজ্য কায়েম করেছি সত্যি।


আমার বাবা ফেলাফত পাননি। তিনি দুইবার এমপি ছিলেন। আমাদের জন্য এক টাকাও রেখে যাননি। ৯০০ টাকার জন্য ফরম ফিলাপ করতে পারিনি। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান বাস চালাত। বায়তুল মোকাররমের সামনে মুরগি বিক্রি করেছেন কিন্তু মাথা নত করেননি।


তিনি বলেন, আমার বাবা জমি দখল করেননি। স্বাধীনতার পর লুট করেননি। হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেননি। বাবা আমাদের জন্য টাকা রেখে যাননি। মানুষকে ভালোবাসতে শিখিয়ে গেছেন। সেটা নিয়েই বেঁচে আছি।


আমাকে বিভিন্নভাবে গালাগালি করা হয়। ৩০ বছর আগে হলে জবাব দিলে শহরে থাকতে হতো না। যারা গালাগালি করে আমার তাদের প্রতি মায়া লাগে। আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত করে।


শামীম ওসমান বলেন, ৯৬ সালে এমপি হওয়ার পর প্রথম আমি এ বক্তাবলী ও আলীরটেকের কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম এ আলোর নিচের অন্ধকারকে আলো বানাবো। আজ সব এলাকা থেকে লোকজন এখান দিয়েই আসে।