সাপাহারে ৯৬ জন ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছেন জমিসহ ঘর
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, ২১শে মার্চ ২০২৩
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে নওগাঁর সাপাহারে ৪র্থ ধাপে ১ম পর্যায়ে জমিসহ ঘর পাচ্ছে আরও ৯৬ ভূমিহীন গৃহহীন পরিবার। ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের পর উপকারভোগীদের মাঝে এই ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে।
এ উপলক্ষে সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক মত বিনিময় সভা ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় লিখিত বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, মুজিববর্ষে দেশের একজন মানুষও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবেনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের উদ্যোগে ও তত্ত্বাবধানে সারাদেশে জমি ও ঘর নেই (ক শ্রেণীর ভূমিহীন পরিবার ) এমন পরিবারকে ২ শতক জমি ও গৃহ প্রদানপূর্বক এই পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উপকারভোগী নির্বাচন, নির্বাচিত উপকারভোগীদের মাঝে খাস জমি বন্দোবস্ত এবং ঘরের গুণগত মান নিশ্চিত করে ইতিমধ্যে সারা দেশে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের গৃহ প্রদান কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২২ মার্চ সারাদেশে ৪৯,৪২৭ টি ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এতে করে সারা দেশে মোট ১ লাখ ৮২ হাজার ৩৭৭ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে পেয়েছেন ২ শতক জমি ও একটি সেমিপাকা ঘর।
ইতিমধ্যে এ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২০ ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬০টি তৃতীয় পর্যায়ে ৫৫ টি মোট ২৩৫ টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পূর্ণবাসন করা হয়েছে। এ পর্যায়ে অর্থাৎ চতুর্থ পর্যায়ে আরও ৯৬ গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এ পর্যায়ের ৯৬ টি বাড়ির মধ্যে নিশ্চিন্তপুর ভেড়াগুড়ি ৩২ টি, নিশ্চিন্ত ভূমি অফিসের কাছে ১৫ টি, লালচান্দা ৩৬ টি, রসুলপুর ১০ টি বাড়ি রয়েছে। পরবর্তীতে পর্যায়ের জন্য আরও ৮১টি বাড়ি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি, সাপাহার উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী এই মহতী উদ্যোগকে সফল করার ক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী, জেলা প্রশাসক নওগাঁ, উপজেলা প্রশাসন, সাংবাদিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বিভিন্ন দদপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত থাকার কথা উল্লেখ্য করে কৃতজ্ঞতা জানান।
এসময় সহকারি কমিশনার (ভূমি) শারমিন জাহান লূনা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী খাদিজা আক্তার, জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল গাফ্ফার সহ স্থানীয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।