বাজ পাখিকে পোষ মানিয়েছেন জেলে


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, ২১শে মার্চ ২০২৩


বাজ পাখিকে পোষ মানিয়েছেন জেলে
বাজ পাখি

সোশ্যাল মিডিয়ায় কত কিছুই না ভাইরাল হয় প্রতিনিয়ত। কখনো ভালো আবার কখনো কখনো বেশ অপ্রিতিকর ঘটনা উঠে আসে সোশ্যাল মিডিয়ার । তবে ভালো হোক কি মন্দ প্রতিটি বিষয় বেশ আগ্রহের সহিত উপভোগ করেন প্রতিটি মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কখনো কখনো উঠে আসে বিভিন্ন পশুপাখিদের বিভিন্নরকম কর্মকাণ্ড। আর যা বেশ নজর কাড়ে নেট দুনিয়ার নাগরিকদের। 


সকল প্রাণীর মাঝে প্রেম-ভালবাসা বিরাজমান। মানুষ যেমন মানুষকে ভালবাসে তেমনি প্রাণীরাও প্রাণীদের ভালবাসে। আবার কিছু কিছু ভালবাসা হয় মানুষ ও প্রাণীর মাঝে। এতে মানুষ ভালবেসেছে প্রাণীকে। আবার কোনো কোনো সময় প্রাণী ভালবেসেছে মানুষকে। এই ভালবাসায় মানুষের মতো স্মৃতিশক্তি হয়তো প্রাণীদের নেই। তাই তারা স্মরণে রাখতে পারে না কারও উপকার কিংবা ভালবাসার কথা। তবে কিছু কিছু প্রাণী, মানুষের ভালবাসার প্রতিদান দিয়েছে। আজকের লেখায় এমনই কিছু ভালবাসার কথা জানবো যেখানে মানুষ ও প্রাণী তাদের ভালবাসার মূল্য দিতে জীবনও বাজী রেখেছে।


ভালোবাসার বিশালতা আমাদের কল্পনাকেও হার মানায়। বলা হয়, মানুষ জন্ম নেয় অসীম ভালোবাসার ক্ষমতা নিয়ে। আমাদের মাঝেই আছেন এমন কিছু মানুষ যারা ভালোবাসা ছড়িয়ে দেন সবখানে, সকল প্রাণে।


তাদের সেই ভালোবাসা, যত্ন আর মায়ায় ভালোভাবে বেঁচে থাকে অসহায় ও অবহেলিত অনেক পশু-পাখিও। তাদের প্রতি ভালোবাসা ও সাহায্য পৌঁছে দিতে পশুপ্রেমীরা


দুই বছর আগে বৃষ্টিতে ভিজে  ছোট দুটি বাজ পাখি পড়ে ছিলো রাস্তায়, পাখি দুটি দেখতে পেলেন, মহিপুর ইউনিয়ানের বিপিনপুর গ্রামের আবদুল আজিজ পহলান ছেলে কামাল পহলান।


বাড়িতে নিয়ে আসে বাজপাখির ছানা দুটি ১৫ দিনের মত চিকিৎসা করার পড়ে ছেড়ে দিলেও পোষ মেনে ফিরে না গেলে দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেন এই জেলে কামাল পাহলান।  পাখিটিকে খাইয়ে দেওয়া, গোসল করানো ও তাঁর সাথে খেলাধুলা সবটাই সযত্নে করতে শুরু করি পাখিটিকে এরপর মিশে যায় জেলের পরিবারের সাথে। সুরক্ষা দিচ্ছে জেলের পরিবারকেও অপরিচিত মানুষ সহ কোন হিংস্র প্রাণী আসলে ও ডাকাডাকি শুরু করেন বাজপাখিটি এরপর ভালোবেসে তাঁর নাম রাখা হয় ডায়মন। 


ডাকলেই চলে আসে কামাল পাহলানের কাছে ডায়মনের সংসারটা অনেক ভালোই ছিলো। পুরুষ বাজ পাখিটা শারা দিন টাওয়ারে থাকলেও ৮/১০ পড়ে ফিরে আসে জেলের বাসায় তবে ওর খাবারের দায়িত্ব  নেওয়া লাগেনা পাহলানের বাহির থেকেই খেয়ে আসে রোজ শুধু ডায়মনের খাবারের জন্য রোজ মাছ ধরতে হয় জেলের । সারাদিন বাড়ীর অঙ্গিনায় থাকলেও সন্ধা নামার সাথেই  ফিরে আসেন ঘরের দরজায় খাচ্ছেন বাড়ীর মানুষের সাথে খাবারও। হিংস্র প্রাণীর এমন বন্ধুতের ঘটনায় রীতিমত শারা ফেলেছে এলাকায় দেখতে ভীর জমান অনেকেই।


প্রতিবেশী দুলাল বলেন, কামাল পাহলানের ছোট বেলা থেকেই পশুপাখি পালার শখ কবুতর থেকে শুরু করে শালিক ঘুঘু সহ বিড়াল পুষতেন তিনি তার পাখির প্রতি ভালোবাসার প্রতিদান দিচ্ছেন পালিত পাখিও আমরাও উপভোগ করছি এমন দৃশ্য। 


স্থানীয়রা বলেন, যেখানে মানুষ মানুষকে ভালোবাসলে প্রতিদান নেই সেখানে এমন একটা হিংস্র পাখির সাথে কামাল পাহলানের এমন একটা ভাব সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। সময় পেলেই দেখতে আসি তাদের কে কামাল শতব্যস্ত থাকলেও খোঁজ খবর রাখেন পাখিটির এভাবে সবাই এগিয়ে আসলে আবার সভ্য পৃথিবী পাবো আমরা।