বাউফলে গভীর রাতে শতাধিক তরমুজ চুরি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, ২৮শে মার্চ ২০২৩


বাউফলে গভীর রাতে শতাধিক তরমুজ চুরি
ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চর কালাইয়া, শৌলা এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোর ডাকাত চক্রের সক্রিয় সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা। এতে সর্বস্ব হারাচ্ছে তরমুজ চাষিরা। দিনরাত নির্ঘুম হয়েও জিম্মির মুখে তরমুজ চাষিরা। স্থানীয় প্রশাসনের যেন নেই কোনও নজরদারি। যার ফলে দুরদুরান্ত থেকে তরমুজ চাষ করতে আসা তরমুজ চাষিরা শঙ্কায় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 


শনিবার (২৫ মার্চ) চর কালাইয়া মৌজার তরমুজ চাষির ক্ষেত থেকে তরমুজ চুরি ও ডাকাতি করার সময় হাতেনাতে ২ জনকে চাষিরা আটক করেছে। এ সময় ১৮৪ পিস তরমুজ উদ্ধার করা হয়েছে। 


রবিবার (২৬ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২ চোরকে তরমুজ চাষিরা আটক করে রেখেছেন। এবং ১৮৪ পিস তরমুজ উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে রেখেছেন।


এ সময় তরমুজ চাষি রাসেল শরীফ, সোহেল শরীফ, আনোয়ার প্যাদাসহ একাধিকরা জানান, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে আমরা দুরদুরান্ত থেকে এসে পেটের দায়ে তরমুজ চাষ করছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু আমরা সবসময়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। রাতের গভীরে কেউ চোর সেজে কেউ বা আবার ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে বড় বড় তরমুজ গুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সকাল হলেই উঠে দেখি ক্ষেত ফাকা বা বড় বড় তরমুজ গুলো লাপাত্তা হয়ে গেছে। এব্যাপারে প্রশাসন অবগত থাকলেও কোনও প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।


তারা আরও জানান, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে একদল তরমুজ কেটে নিয়ে যাচ্ছে এমন একদল চোর ডাকাতকে আমরা হাতেনাতে আটক করেছি। এসময় ২ জনকে আটক করে রাখা হয়েছে। এবং ১৮৪ পিস তরমুজ উদ্ধার করা হয়। পরে তা স্থানীয় চেয়ারম্যান মনির মোল্লার নির্দেশে ছেড়ে দেওয়া হয়।


স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রিপন শরীফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তরমুজ চাষিদের ব্যাপারে আমাদেরই সোচ্চার হয়ে নিরাপত্তা দিতে হবে। আর আজকে যে চোরসহ তরমুজ উদ্ধার করা হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে চোরদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


স্থানীয় চেয়ারম্যান এসএম ফয়সল আহমেদ মনির মোল্লা ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন, এব্যাপারে স্থানীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এবিষয়ে বাউফল থানা ওসি  জানায় দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে ৷