ইসলামী অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিই হচ্ছে যাকাত: ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, ১লা এপ্রিল ২০২৩


ইসলামী অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিই হচ্ছে যাকাত: ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব
প্রতীকী ছবি

রমজানের রহমতের শেষ প্রান্তে আমরা রয়েছি। মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে সবিনয় প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদের রোজা কবুল করে নিয়ে আমাদেরকে তার দয়ার চাদরে আবৃত করে নেন আর বিশ্বকে সব বিপদাপদ থেকে রক্ষা করেন।


আমরা জানি, রমজানের দিনগুলোতে আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ঝড়ো গতিতে দান খয়রাত করতেন। যাদের সামর্থ্য আছে তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন রমজানে দানখয়রাত করেন কিন্তু যে হারে করা প্রয়োজন সেভাবে হয়তো করেন না। এছাড়া শুধু রমজান মাস আসলেই হাতে গনা কিছু মানুষকে দেখা যায় জাকাতের কাপড় বিতরণ করতে, আর সারা বছর এমনটি চোখে পরে না।


আমরা যেভাবে নামাজ আদায় করাকে ফরজ জানি তেমনি জাকাত প্রদানও ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর একটি। পবিত্র কোরআন করিমে বিরাশি জায়গায় আল্লাহতায়ালা সালাতের কথা উল্লেখ করেছেন। আর সবখানেই সালাতের সাথে সাথে জাকাত প্রদানের নির্দেশও দিয়েছেন। এটা অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যবহ বিষয়। সালাতের সাথে জাকাতের সম্পর্ক ওতোপ্রতোভাবে জড়িত।


জাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। এটি ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূল ভিত্তি। জাকাত আদায় করা হলে মানুষের ধন-সম্পদ থেকে গরিবের হক আদায় হয়। ফলে তা হালাল ও পবিত্র হয়। আবার জাকাতের মাধ্যমে শ্রেণিবৈষম্য দূর হয়, সমাজে দারিদ্র্যের হার কমতে থাকে এবং সচ্ছল মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সে অর্থেই জাকাত অর্থ বৃদ্ধি করা।


ইসলাম একমাত্র আল্লাহর মনোনীত জীবন বিধান। এটি বিশ্ব মানবতার মহান মুক্তির সনদ। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক রাজনৈতিক,স্বাংস্কৃতিক,অর্থনেতিক,ধর্মীয় ও আর্ন্তজাতিক তথা - সার্বিক জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে, মহান রাব্বুলআলামীনের ঐশি পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআনুল কারীমের মধ্যে। এ শাশ্বত জীবন বিধান  মানব সমাজে দ্যুাতি ছড়িয়ে পথ-পদর্শন করেছে যুগ যুগান্তরে। এর পরশে আলোকিত  হয়েছে বর্বর জাহিলি সমাজ। ঘন ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত জাতি পরিণত হয়েছে  গোটা বিশ্বের অনুকরণীয়  আদর্শে । সে কালজ্বয়ী আদর্শ  শাশ্বত জীবন বিধান  ইসলাম পাঁচটি মূলভিতিত্তির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত যথা- ১. ঈমান বা বিশ্বাস ২.সালাত বা নামাজ  ৩.সাওম বা রোজা ৪.হজ  ও  ৫. যাকাত।  আজকের আলোচ্য বিষয় হলো-ইসলামের পাঁচটি মূলভিত্তির পঞ্চম ভিত্তি যাকাত।


যাকাত শব্দের অর্থ:

যাকাত  শব্দের অর্থ  যা পরিশুদ্ধকর, এটি হলো ইসলাম র্ধমরে পঞ্চস্তম্ভবের একটি । প্রত্যকে স্বাধীন, র্পূণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে  তা গরীব-দুঃস্থদরে মধ্যে বিতরণের  নিয়মকে যাকাত বলা হয়।


সাধারণত নির্ধারিত সীমার অধিক সম্পত্তি হিজরি ১ বছর ধরে থাকলে মোট সম্পত্তরি ২.৫ শতাংশ (২.৫%) বা ১/৪০ অংশ বিতরণ করতে হয়। ইসলামরে পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে হজ্জ্ব এবং যাকাত শুধুমাত্র র্শতসাপক্ষে  সম্পদশালীদের জন্য ফরয বা আবশ্যিক হয়।


জাকাতের নিসাব ও হিসাবঃ-

ক. সোনা ৭.৫ তোলা=৯৫.৭৪৮ গ্রাম (প্রায়)। খ. রুপা ৫২.৫ তোলা=৬৭০.২৪ গ্রাম (প্রায়)। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৩৯৪; আল ফিকহুল ইসলামী : ২/৬৬৯)


দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও ব্যাবসায়িক পণ্যের নিসাব নির্ধারণে সোনা-রুপা হলো পরিমাপক। এ ক্ষেত্রে ফকির-মিসকিনদের জন্য যেটি বেশি লাভজনক হবে, সেটিকে পরিমাপক হিসেবে গ্রহণ করাই শরিয়তের নির্দেশ। তাই মুদ্রা ও পণ্যের বেলায় বর্তমানে রুপার নিসাবই পরিমাপক হিসেবে গণ্য হবে। যার কাছে সাড়ে ৫২ তোলা সমমূল্যের দেশি-বিদেশি মুদ্রা বা ব্যাবসায়িক পণ্য মজুদ থাকবে, তার ওপর জাকাত ওয়াজিব হবে। যে সম্পদের ওপর জাকাত ফরজ, তার ৪০ ভাগের এক ভাগ (২.৫০ শতাংশ) জাকাত দেওয়া ফরজ। সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করে শতকরা আড়াই টাকা বা হাজারে ২৫ টাকা হারে নগদ অর্থ কিংবা ওই পরিমাণ টাকার কাপড়চোপড় বা অন্য কোনো প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দিলেও জাকাত আদায় হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫৭২; সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৬২৩)


যাকাতের র্শতসমূহ:

স্বাধীন, র্পূণবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে কতিপয় র্শতসাপক্ষে তার উপর যাকাত ফরয হয়ে থাকে। 


যেমন:-সম্পদের উপর র্পূণ মালিকানা:

সম্পদের উপর যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য সম্পদের মালকিানা সুনর্দিষ্টি হওয়া আবশ্যক। র্অথাৎ সম্পদ, মালিকের অধিকারে থাকা, সম্পদের উপর অন্যের অধিকার বা মালিকানা না থাকা এবং নিজের  ইচ্ছামতো সম্পদ ভোগ ও ব্যবহার করার র্পূণ অধিকার থাকা। যে সকল সম্পদের  মালিকানা সুস্পষ্ট নয়, সেসকল সম্পদের কোনো যাকাত নেই, যেমন: সরকারি মালিকানাধীন সম্পদ। অনুরূপভাবে জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য ওয়াক্ফকৃত সম্পদের উপরে যাকাত র্ধায হবে না। তবে ওয়াক্ফ যদি কোনো ব্যক্তি বা গোত্ররে জন্য হয়, তবে তার উপর যাকাত দিতে হবে।


সম্পদ উৎপাদনক্ষম হওয়া:

যাকাতরে জন্য সম্পদকে অবশ্যই উৎপাদনক্ষম, প্রবৃদ্ধিশীল হতে হবে, র্অথাৎ সম্পদ বৃদ্ধি পাবার যোগ্যতাই যথেষ্ট। যেমন- গরু, মহিষ, ব্যবসার মাল, নগদ র্অথ ব্যবসায়িক উদ্দশ্যেক্রীত যন্ত্রপাতি ইত্যাদি মালামাল র্বধনশীল র্অথাৎ যেসকল মালামাল নিজের প্রবৃদ্ধি সাধনে সক্ষম নয়,সেসবের উপর যাকাত র্ধায হবে না, যেমন: ব্যক্তিগত ব্যবহারের মালামাল, চলাচলের বাহন ইত্যাদি।


মৌলিক প্রয়োজনাতিরিক্ত সম্পদ থাকা:

সারা বছররে মৌলিক প্রয়োজন মটিয়ে যে সম্পদ উদ্ধৃত থাকবে, শুধুমাত্র তার উপরই যাকাত ফরয হবে। এ প্রসঙ্গে আল-কুরআনে  উল্লেখ রয়েছে- “লোকজন আপনার নিকট (মুহাম্মদের (সা:) নিকট) জানতে চায়, তারা আল্লাহর পথে কী ব্যয় করবে ? বলুন, যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত। আল্লাহ এভাবেই তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট বিধান বলে দেন।” মুহাম্মদ (সা:) এর সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) (বলেছেন- “ অতিরিক্ত বলতে পরিবারের ব্যয় বহনের পর যা অতিরিক্ত বা অবশষ্টি থাকে তাকে বুঝায়।” ইউসুফ আল-কারযাভী`র মতে স্ত্রী, পুত্র, পরিজন ও পিতা-মাতা এবং নিকটাত্মীয়দের ভরণ-পোষণও মৌলিক প্রয়োজনের অর্ন্তভুক্ত।


ঋণ মুক্ততা:

নিসাব পরিমাণ সম্পদ হলেও ব্যক্তির ঋণমুক্ততা, যাকাত ওয়াজিব হওয়ার অন্যতম র্শত। যদি সম্পদের মালিক এত পরিমাণ ঋণগ্রস্থ হন যা, নিসাব পরিমাণ সম্পদও মিটাতে অক্ষম বা নিসাব পরিমাণ সম্পদ তার চেয়ে কম হয়, তার উপর যাকাত ফরয হবে না। ঋণ পরিশোধের পর নিসাব পরমিাণ সম্পদ থাকলেই কেবল যাকাত ওয়াজিব হয়। তবে এক্ষেতে  দ্বিতীয় মতটি হলো: যে ঋণ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয় সে ঋণের ক্ষেতে যে বছর যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করতে হয়, সে বছর সে পরিমাণ ঋণ বাদ দিয়ে বাকিটুকুর উপর যাকাত দিতে হয়। কিন্তু ঋণ বাবদ যাকাত অব্যাহতি নেওয়ার পর অবশ্যই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় সে সম্পদরে উপর যাকাত দিতে হবে।


সম্পদ এক বছর আয়াত্তাধীন থাকা:

নিসাব পরিমাণ স্বীয় সম্পদ ১ বছর নিজ আয়াত্তাধীন থাকা যাকাত ওয়াজিব হওয়ার র্পূবর্শত।তবে কৃষিজাত ফসল, খনিজ সম্পদ ইত্যাদির যাকাত (উশর) প্রতিবার ফসল তোলার সময়ই দিতে হবে। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানীর ক্ষেতে বছর শেষে  র্বণিত সম্পদ ও দায়-দেনা অনুসারে যাকাতের পরমিাণ নির্ধারিত হবে।


অপ্রাপ্তবয়স্ক ও পাগলের যাকাত: 

সম্পদের মালিক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা পাগল হলে, তার যাকাত তার আইনানুগ অভিভাবককে আদায় করতে হবে।


যৌথ মালকিানাধীন সম্পত্তরি যাকাত: 

কোনো সম্পদে যৌথ মালিকানা থাকলে সম্পদের প্রত্যেক অংশীদার তাঁর স্ব-স্ব অংশের উপরে যাকাত দিবেন, যদি তা নিসাব পরিমাণ হয় বা তার অতিরিক্ত হয়। র্অথাৎ সম্পদের স্বীয় অংশের মূল্য অন্যান্য সম্পদের সাথে যোগ করে হিসাব করে যদি দেখা যায় তা নিসাব পরিমাণ হয়েছে বা অতিক্রম করেছে, তবে যাকাত দিতে হবে।


নির্ধারিত যাকাত: 

যাকাত নির্ধারিত হওয়াা সত্ত্বেও যে পরিশোধের আগেই সম্পদের মালিকের মৃত্যু হলে তার উত্তরাধীকারগণ অথবা তার তত্ত্বাবধায়ক তার সম্পত্তি থেকে প্রথমে যাকাত বাবদ পাওনা ও কোনো ঋণ থাকলে তা পরেিশাধ করবনে। এরপর অবশষ্টি সম্পত্তি, উত্তরাধকিারীদের মধ্যে ব›টিত হবে।


তত্ত্ববধায়কের দায়িত্বে ন্যস্ত সম্পদের যাকাত: 

মালিকের পক্ষ থেকে নিয়োগকৃত আইনানুগ তত্ত্বাবধায়কের কাছে সম্পত্তি ন্যস্ত থাকলে মালিকের পক্ষে উক্ত তত্ত্বাবধায়ক সে যাকাত পরেিশাধ করবনে।


বিদেশস্থ সম্পদের যাকাত

যাকাত ওয়াজিব হবার জন্য সম্পত্তি নিজ দেশে থাকা র্শত নয়। বরং সম্পত্তি অন্য দেেশ থাকলেও তার উপর যাকাত দিতে হবে। তবে উক্ত দশে ইসলামী রাষ্ট্র হলে এবং দেশের সরকার যাবতীয় সম্পদের উপর যাকাত দিলে তা আর আলাদা করে দিতে হবে না।


যাকাত বণ্টনের খাতসমূহ:

পবিত্র কুরআনরে সূরা আত-তাওবা যাকাত বন্টনে আটটি খাত আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করছেন  এই খাতগুলো সরাসরি কুরআন দ্বারা নির্দিষ্ট, এবং যেহতেু তা আল্লাহ`র নির্দেশে, তাই এর বাইরে যাকাত বণ্টন করলে যাকাত ইসলামী শরয়িত সম্মত হয় না


১. ফকির (যার কিছুই নেই)

২. মিসকীন (যার নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই)

৩. যাকাত আদায়ে নিযুক্ত র্কমচারী (যার অন্য জীবিকা নেই)

৪. অমুসলিমদের মন জয় করার জন্য

৫. ক্রীতদাস (মুক্তির উদ্দেশ্যে)

৬. ধনী সম্পদশালী ব্যক্তি যার সম্পদের তুলনায় ঋণ বেশী

৭. (স্বদেশ ধনী হলেও বিদেশে) আল্লাহর পথে জিহাদে রত ব্যক্তি

৮. মুসাফির (যিনি ভ্রমণকালে অভাবে পতিত)

    অনেকে যাকাতের র্অথে শাড়ী ক্রয় করে তা বন্টন করে থাকেন। এভাবে যাকাত আদায়  হয়ে গেলেও  আসলে প্রকৃতপক্ষে যাকাত গ্রহণকারীর তেমন উপকার হয়না। তাই যাকাত বন্টনের উত্তম পন্থা হলো যাকাত যাদেরকে প্রদান করা যায়, তাদেরে একজনকইে বা একটি পরবিারকেই যাকাতের সর্ম্পূণ র্অথ দিয়ে স্বাবলম্বী করে দেয়া ।


যাকাত গণনার নিয়ম:

প্রতিজন মুসলমানকে তাঁর যাবতীয় আয়-ব্যয়-সম্পদের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব সংরক্ষণ করতে হয় । হিসাব সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বাৎসরিক ভিত্তি একটি মৌলিক ধারণা। র্অথাৎ বছরে একটা নির্দিষ্ট দিন থেকে পরবর্তি বছরে একটি নির্দিষ্ট দিন র্পযন্ত যাবতীয় আয়-ব্যয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব রাখতে হয়। এই `দিন` বাছাই করার ক্ষতে  কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে কোন মাসে দিন নির্ধারণ করতে হবে। সাধারণত কেউ কেউ হিসাব সংরক্ষণের সুবিধার্থে হিজরি বছরে প্রথম মাস মহররমের কোনো দিন কিংবা অধিক পূণ্যের আশায় রমজান মাসের কোনো দিন বাছাই করে থাকেন। এই হিসাব সংরক্ষণ হতে হবে যথেষ্ট সূক্ষ্মতার সাথে। সংরক্ষিত হিসাবের প্রেক্ষিতে ইসলাম র্ধমের নিমানুযায়ী নিসাব পরিমাণ সম্পদ হলে তবেই উক্ত ব্যক্তির উপর যাকাত দেয়া বাধ্যতামূলক (ফরয) হয়, অন্যথায় যাকাত দিতে হয় না।


পরিশেষে বলতে চাই, আমরা জানি, সাহাবীগণের অধিক সংখ্যকই ছিলেন দরিদ্র ও অভাবী। নিজেদের ব্যবহারিক জীবনে তারা বহু অভাব অনটনে থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর পথে দ্বীনের কাজের জন্য বহুবিধ পথে তারা সম্পদ ব্যয় করতেন। এ সকল সাদাকাতের মধ্যে জাকাত ছিল অগ্রগণ্য ও সর্বব্যাপী।


আমাদের হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে রমজানের সঙ্গে যাকাতের সম্পর্ক কী? যাকাত আসলে যে কোনো সময়ই দিতে পারে ব্যক্তি। তবে পবিত্র রমজানের এ বরকতের সময় যাকাত দিলে সওয়াব আরো বহুগুণে বেড়ে যায়। এ কারণে অনেকেই এই রমজানকে যাকাত দেয়ার মওসুম হিসেবে বেছে নেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন এবং হাদিস অনুযায়ী জাকাত আদায় করে সম্পদের পবিত্র অর্জনের তাওফিক দান করুন।