বিকেএসপিতে পড়ার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র ফুটবলার চোসাউ রোয়াজার
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:০৪ অপরাহ্ন, ৫ই এপ্রিল ২০২৩
অভাবের সংস্যারে বিকেএসপিতে পড়ার অনিশ্চিত হয়েছে রাঙামাটির নানিয়ারচরের হতদরিদ্র পরিবার থেকে বেড়ে উঠা পাহাড়ি ফুটবলার চোসাউ রোয়াজার। আর্থিক সংকট আর চরম দরিদ্রতায় দিন মজুরী চিংথোয়াই রোয়াজার মেয়ে তরুণ ফুটবলার চোসাউ রোয়াজার পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সে এখন ঢাকায় বিকেএসপিতে পড়াশোনা করছেন। ছোট বেলা থেকে ফুটবল খেলার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী ছিল তার। স্কুল ছুটি হওয়ার পরেই অবসর সময়ে ঘরে বসে না থেকেই মাঠেই খেলতে দেখা যেত। ফুটবল প্রেমি হওয়ার জন্য তার স্বপ্ন ছিল দেশের গৌরবের জন্য কিছু করার। ইতিমধ্যে সে বঙ্গমাতা টুর্ণামেন্ট, জামালপুর ক্যাচারি ক্লাব ও কুমিল্লা ডিভিশন সহ বিভিন্ন ফুটবল ম্যাচ খেলে সবার নজর কেড়েছেন। এলাকাবাসী তার কাছে ভালো কিছু পাবেন বলে মনে করছেন,ফুটবলে তার অসাধারণ নৈপুণ্যে দেখলে সবার মন কাড়বে।
কিন্তু শঙ্কা আর উৎকণ্ঠায় দিন পার হচ্ছে তার। চোসাউর চোখে-মুখে বিষাদের ছায়া।
চরম দরিদ্রতা আর অভাব-অনটনের মধ্যে সে বিকেএসপিতে পড়তে পারবে কি না এ নিয়েই শঙ্কা পরিবারের। দরিদ্রতার চাপে পিষ্ট চোসাউর পরিবার এক বেলা খাবার জোগাড় করতেই যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বিকেএসপিতে খরচ জোগাড় করবে কিভাবে?
নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের পুলিপাড়া গ্রামের যাদুকরী ফুটবলার চোসাউ রোয়াজা। চরম দরিদ্রতা আর অভাবের সংস্যারে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে বেড়ে উঠেছে সে। মায়ের কষ্ট আর বাবার ঘরে রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছে। তার পরও হাল ছাড়েনি। নিজের ইচ্ছা এবং মা-বাবার আপ্রাণ চেষ্টায় বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছে।
চোসাউ রোয়াজার বাবা চিংথোয়াই রোয়াজার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ সন্তানের মধ্যে সে মেজো সন্তান। বড় ছেলে খাগড়াছড়ি কলেজে পড়ে বাকি সন্তান গুলোও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছেন। কষ্ট কে কষ্ট না বলে প্রতিদিন অন্যের বাড়িতে দিন মজুরি করে ৫০০/৬০০ টাকা করে পাই। তাতেই কোনরকম সংস্যার চালিয়ে নিতে হচ্ছে। কোন সময় একদিন কাজের সুযোগ না মিললে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে যায়।
পুলিপাড়া মুরুব্বি পাইসাপ্রু রোয়াজা বলেন,নিজের সামনে সবকিছু দেখছি,পরিবারটি অনেক অসহায়,চোসাউ এর বাবার উপর সংসারটি চলে,সাতজন সদস্য নিয়ে পরিবারটি,ঢাকায় মেয়ের জন্য অর্থ যোগান দিতে এখন হিমশিম খাচ্ছেন,পরিবার চালাবে নাকি অন্য ছেলেমেয়েদের ভরনপোষন করবে,নাকি অন্যদের লেখাপড়া খরচ যোগাবে। এখন পরিবারটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে কাটছে, আমি আমাদের জননেত্রী মা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই,চোসাউ রোয়াজা আমাদের দেশের রত্ন। একদিন রুপনা,পূর্নিমার মত তার কাছ থেকে ভালো কিছু পাবে দেশ।সরকার চাইলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। তার ফুটবলের রয়েছে অসাধারণ প্রতিভা।
আরএক্স/