ধামরাইয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে গার্মেন্ট শ্রমিকের আত্মহত্যা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:১১ পূর্বাহ্ন, ৭ই এপ্রিল ২০২৩


ধামরাইয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে গার্মেন্ট শ্রমিকের আত্মহত্যা
ছবি: জনবাণী

ঢাকার ধামরাইয়ে স্নোটেক্স ফ্যাক্টরির ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে বৃষ্টি নামে এক গার্মেন্ট শ্রমিক আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ শ্রমিক নেতার।


বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকে ধামরাই ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডের পাশে স্নোটেক্স আউটওয়্যার ফ্যাক্টরিতে এ ঘটনাটি ঘটে।


নিহত গার্মেন্ট শ্রমিক বৃষ্টি আক্তার শিলা (২১) রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দরাপের ডাঙ্গা এলাকার মো. বাচ্চু শেখের মেয়ে।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্নোটেক্স আউটওয়্যার ফ্যাক্টরির ছয়তলা ভবনের ছাদের উপর থেকে লাফ দিয়ে বৃষ্টি আক্তার নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ বৃষ্টি আক্তারকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মো. রাসেল প্রমানিক বলেন, বৃষ্টি নামের শ্রমিক কেন আত্মহত্যা করেছে, কি কারণে ছাদে আত্মহত্যা করছে বা ছাদ থেকে কেন লাফিয়ে আত্মহত্যা করছে। এটা আসলে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এখানে বোধহয় ১৭ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করে। কেউ ডিপ্রেশনে যাবে, কেউ পরকীয়া করবে, কেউ ফ্যামিলিগত ঝামেলায় পূর্বে বা অন্যান্য ঝামেলায় পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল যে আইন অনুযায়ী ছাদে যেহেতু গেইট লাগানো যাবে না। সেক্ষেত্রে ছাদে তাদের নিরাপত্তা কর্মী বা সিকিউরিটি গার্ড রাখা উচিত ছিল। এখানে তাদের দায়িত্বে অবহেলা হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়। আরেকটা বিষয় হচ্ছে ওনাদের বক্তব্য অনুযায়ী শ্রমিক ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছে সকাল ৬ টা ৫৯ মিনিটে। কিন্তু ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ জানতে পারছে সকাল ৮ টায়। তার মানে কি এখানে প্রায় ১ ঘন্টার বেশী সময় লেগে গেছে তাদের জানতে। তাদের এত বড় একটা প্রতিষ্ঠান এত এত সিকিউরিটি এত এত ম্যানপাওয়ার। মাঝখানে তাদের এতগুলো সময় লেগে গেল জানতে। আসলে এখানে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা হয়েছে এটা তাদের বক্তব্যে ওঠে আসছে। অবশ্যই এটা আশা করব যে এর সুষ্ঠু তদন্ত হোক।


এবিষয়ে জানতে স্নোটেক্স আউটওয়্যার ফ্যাক্টরির এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর অপারেশন জয়দুল হোসাইনকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।


ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেম সংগঠিত কারণে ওই শ্রমিক আত্মহত্যা করেছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত করে আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটন করা হবে।