দুমকিতে সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক সাড়া


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, ৮ই এপ্রিল ২০২৩


দুমকিতে সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক সাড়া
ছবি: জনবাণী

ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে অল্প সময়ে কম খরচে অধিক ফলনে দিন দিন সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার কৃষকরা। 


সবুজের সমারোহে হলুদ রঙের ফুল উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। বৃষ্টির পানি পেয়ে ফসলের মাঠে প্রাণ ফিরে পাওয়ায় সৌন্দর্য আরও বেড়ে গেছে। যৌবন জোয়ারে নিজেকে বিলিয়ে দিতে ব্যস্ত যেন প্রকৃতির মাঝে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে পরিবেশ ও ফুল প্রেমিদের সুর্যমূখী ক্ষেতের সেলফি তোলা। আর এদের পদচারণায় মুখরিত গ্রামীণ জনপদের ক্ষেত-খামার।


দুমকি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সূর্যমুখী চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০হেক্টর। বাস্তবে চাষাবাদ হয়েছে ৪৫ হেক্টরের অধিক জমিতে। উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সূর্যমুখী চাষ হলেও শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলা, কোহারজোড় ও দক্ষিণ শ্রীরামপুরের জমিতে বেশি চাষাবাদ হয়েছে। 


কোহারজোড় এলাকার কৃষক আ. জলিল খান বলেন, তিনি এবছর ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আমন ধান পরবর্তী পতিত ৩ একর জমিতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ ক্রমে হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী চাষ করেছেন। আব‌হাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন পর্যন্ত গাছ বেশ ভালো হয়েছে। 


শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক ইউছুফ খান জানান, এক একর জমিতে তিনি সূর্যমুখী চাষ করেছেন, গাছে বেশ ভালো ফুল ফুটেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নিজের চাহিদা পূরণ করে বিক্রি করা যাবে এবং এর শুকনো গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারব। 


জামলার কৃষক লক্ষন চন্দ্র শীল জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের সূর্যমুখী চাষ করেছেন। উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কুলসুম আক্তার প্রায়‌ই সরেজমিনে এসে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসমিতা আক্তার সোনিয়া জানান, সূর্যমুখীর বীজ থেকে যে তেল হয় তা মানসম্পন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত। ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে তিনি উপজেলার কৃষকদের উৎসাহিত করে যাচ্ছেন। বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত সূর্যমুখী চাষে প্রদর্শনী প্লট তদারকি ও করনীয় বিষয়ক পরামর্শ দিচ্ছেন। 


তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর কৃষকরা লাভবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।