কলাপাড়ায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ খেটে খাওয়া মানুষ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, ১১ই এপ্রিল ২০২৩
পটুয়াখালীর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) জেলার কলাপাড়া উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাই এই ভ্যাপসা গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন রোজাদাররা। তপ্ত রোদে মৌসুমী সবজি চাষিরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।
রোদের এ তীব্রতা আরও বাড়লে ক্ষেতের সবজি পচে যাওয়ার শংকায় রয়েছেন তারা। এদিকে অস্বাভাবিত গরমে হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে জ্বর ও ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। তিব্র গরম সইতে না পেড়ে খালে বিলে পুকুরে মাছ ধরতে দেখা গেছে অনেকেই, তবে আবহাওয়ার এই অবস্থা আরও এক সপ্তাহ বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস।
কলাপাড়া লঞ্চঘাট এলাকারা শ্রমিক আহসান মিয়া জানান, জাহাজে গার্মেন্টেসের ব্যাপক মালামাল এসেছে। এসব জামা কাপড় ঈদ উপলক্ষে দোকানীরা বিক্রি করবে। এদিকে অসহনীয় আকারে বেড়েছে গরম। তারপরও এসব মালামাল দৌকানে পৌছে দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একই এলাকার রিক্সা চালক ইয়াসিন মিয়া জানান, এতো রোদ এবং এতো গরম রিক্সা চালানো দায় হয়ে যাচ্ছে। শরীর থেকে শুধু ঘাম ঝড়ছে। চম্পাপুর ইউনিয়নের পান চাষী ইয়াসিন আহম্মেদ জানান, রোদের অবস্থা এরকম থাকলে আমাদেন ক্ষেতের পান অনেকটা পচে যাবে। এতে আমরা বড় লোকসানে পড়বো।
ডালবুগঞ্জের মাছ চাষী ফেরদৌস জানান, সকাল থেকে তিব্র গরম সহ্য করার মত নয় তাই বাসার আশপাশের মানুষ নিয়ে পুকুরে জাল টানছি। কিছুটা হলেও ঠান্ডা লাগছে ৩ /৪ ঘন্টা পানিতে থাকবো রোদের তাপ কমলে ডাঙ্গায় উঠবো। এলাকা ঘুরে দেখা যায় খেটে খাওয়া মানুষের হাসফাস অবস্থা পানি কমে যাওয়ার অনেকেই গ্রামের বাড়ীতে মাঁটি কাটছেন। তাঁরা একটু সুযোগ পেলেই বিশ্রাম নিচ্ছেন গাছের তলায় রোদের প্রচন্ড তাপে মাঁটি ও গরম হয়ে গেছে সকল স্থানের।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, আবহাওয়ার এই অবস্থা আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত বিরাজ করতে পারে।
আরএক্স/