ভূরুঙ্গামারীতে পবিত্র কুরআন অবমাননার অভিযোগে নারী আটক
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, ১২ই এপ্রিল ২০২৩
ভুরুঙ্গামারীতে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার মত ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণছাট গোপালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পবিত্র কুরআন অবমাননার অভিযোগে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ওই নারীর নাম ফাতেমা বেগম। সে ওই এলাকার আসকার হোসেনের স্ত্রী।
এলাকাবাসী জানায়, স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে বনিবনা ছিলো না। সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া থেকে হাতাহাতির ঘটনা পর্যন্ত ঘটত। একে অপরকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সন্দেহ করতো।
রবিবার (৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে পুনরায় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লাগে। সন্দেহ কাটাতে ঝগড়ার এক পর্যায় পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়ে শপথ করার জন্য একে অপরকে বলে। পরক্ষনেই স্ত্রী ফাতেমা বেগম রেগে গিয়ে কুরআন শরীফ মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয় এবং কুরআনের উপর দুই পা দিয়ে দাড়িয়ে থাকে।
সোমবার সকালে পুনরায় ঝগড়া করে ফাতেমা তার স্বামীকে বাড়ি থেকে বেড় করে দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
কুরআন নাজিলের এই মাসে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার খবর পেয়ে ফুঁসে ওঠে তাওহীদি জনতা।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে কুরআন অবমানাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে শত শত মানুষ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। খবর পেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় জনগণ ও ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ মহিলার শাস্তির দাবিতে থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি নেয়।
তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই নারীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চেয়ছেন।
প্রতিবেশি জাহানারা, জহুরা, নাজমা বেগম ও ফরিদুল ইসলাম জানান, এরা স্বামী-স্ত্রী প্রায় সময় ঝগড়া করতো। ওই দিন রাতে ঝগড়া থামাতে আসলে আমাদের সামনেই ফাতেমা পবিত্র কুরআন শরীফের উপরে দু পা দিয়ে দাড়িয়ে অবমাননা করে।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের নির্দেশে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন। তিনি জানান, আটক ওই নারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএক্স/