কামরাঙ্গীরচরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের ইব্রাহিম নগরে বাসা থেকে ঝুমুর আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, যৌতুকের কারণে তাকে হত্যা করেছে স্বামী ও শাশুড়ি। 

এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্বামীর সজল ও তার মাকে আটক করেছে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ।

সোমবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।

নিহত ঝুমুরের মা নুরুন্নাহার বলেন, দুই মাস আগে নিজেদের পছন্দে বিয়ে হয় ঝুমুরের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ঝুমুরের ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হতো। একপর্যায়ে ঝুমুরের স্বামী সজলকে এক লাখ টাকা দেই। আমি অনেক ধারদেনা করে তাকে এক লাখ টাকা দিয়েছিলাম। এরপর মেয়েকে আবার মারধর করে আমার বাসায় পাঠিয়ে দেয়। তাদের কথা একটাই– এই টাকায় হবে না, আরও টাকা দরকার। আমি গরিব মানুষ, এত টাকা কোথা থেকে এনে দেব। দিনমজুরের কাজ করে আমি সংসার চালাই। আমি তাদের টাকা দিতে না পারায় রাতে আমার মেয়েকে তার স্বামীর সজল ও তার মা মেরে ফেলেছে।

তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের না জানিয়ে খাটিয়া এনে কবর দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে আমি খবর পেয়ে থানায় জানাই। পরে আমার মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এখন ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে আছে।

নুরুন্নাহার বলেন, ঝুমুরের স্বামীর সজল ও তার মা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই। এভাবে যারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।

কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ঝুমুরের মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত স্বামী সজল ও তার মাকে আটক করা হয়েছে।

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।