‘এ্যাত্তো খাবার’ স্বপ্নে চিন্তা করতে পারি নাই
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, ১৪ই এপ্রিল ২০২৩
এ্যাত্তো খাবার! মাথা থেকে চিন্তার ওজনটা কমে গেল। ভিতরটা ঠাণ্ডা হয়া গেল। ঈদ আসলেই যেন চোখে সরিষা ফুল দেখি। বিভিন্ন চিন্তায় দিশেহারা হই। আজ সেই হতাশা আর দুশ্চিন্তা যেন নিমিষেই দুর হইল। করোনার সময় মানুষ বাড়ি থেকে বেড়োবার পারে নাই। তখনও খাবার পাইছি। এমনকি ঠাণ্ডায় যখন থরথর করি কাঁপি তখনও কম্বল পাই। আর আজ ঈদের উপহার পাইছি। যেন স্বপ্ন দেখিছি। যিনি হামার (আমাদের) কথা ভাবিয়া এই খাদ্য উপহার দিলেন তাকে ধন্যবাদ দিমো নাকি পা ছুঁয়ে সালাম করিমো ভাবি পাইতেছি না।
তবে তার যেহেতু দেখা পাইছি না, তার জন্য দোয়া কিন্তু করবোই। না হইলে পাপ হইবার পারে। হামরা (আমরা) গরিব মানুষ। হামার চারপাশে এমন মানুষের খুব দরকার। দ্যাশে টাকাওয়ালা বড়লোক অনেকে আছে। কিন্তু বড় মন কয়জনের আছে? আর ভালো মনের মানুষের পাশে আল্লাহর রহমত থাকে। হে আল্লাহ। এই ভালো মানুষটারে সুস্থ রাখিও।’
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার পর মুখে হাসি আর দুই চোখে ছলছল পানি নিয়ে কথাগুলো বলেন মনিকা বেগম (৪০)।
তিনি নীলফামারীর জলঢাকা পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ড মাথাভাঙ্গা গ্রামের রিকশাচালক নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা যায়, চলতি মাসের ৩ এপ্রিল অধিক রক্তক্ষরণে হতদরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ মনিকা হাসপাতালে যখন রক্তের অভাবে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন, তখনো তার পাশে দাঁড়ায় শুভসংঘ। তখন শুভসংঘ রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়া ছাড়াও নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। সারা দেশের মতো উপজেলাটিতে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের ঈদ উপহার প্যাকেজ বরাদ্দ এলে তা মনিকা বেগমকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খাদ্য হাতে তুলে দেন জলঢাকা উপজেলা শাখা শুভসংঘের সভাপতি অধ্যক্ষ বিবেকানন্দ মহন্ত।
বিবেকানন্দ বলেন, দেশ ও মানুষের কল্যাণে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের এক অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে এসব উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হলো। এক মাসেরও বেশি সময় চলার মতো খাদ্যসামগ্রী এই প্যাকেজে আছে।