বিসিক ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বৈশাখী মেলা শুরু


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, ১৫ই এপ্রিল ২০২৩


বিসিক ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বৈশাখী মেলা শুরু
বৈশাখী মেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমির বটতলায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়

রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলছে ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। গত ১১ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে মোট ৮৮টি স্টল। এর মধ্যে রয়েছে- চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্যের ১৩টি, ফ্যাশন-বুটিকস পণ্যের ৪৮টি, খাদ্যজাত পণ্যের ১০টি, বাঁশ, বেত ও হস্তশিল্পের ৫টি, বিসিক মধু ২টি ও কারুশিল্পীদের ১০টি স্টল।


বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর বাংলা একাডেমির বটতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিসিক চেয়ারম্যান মুহম্মদ মাহবুবর রহমান।


সংবাদ সম্মেলনে বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, বৈশাখী উৎসব বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির গৌরবময় উত্তরাধিকার। একে ঘিরে জাতি-ধর্ম-বর্ণ কিংবা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব মানুষের মধ্যে এক ধরনের সম্মিলন ও ঐক্য গড়ে ওঠে। বৈশাখী মেলা আবহমান বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাজার বছর ধরে গ্রামে-গঞ্জে বৈশাখী মেলার আয়োজন হলেও ইদানিং শহর-নগরেও এ মেলার আয়োজন দেখা যায়। বাংলা একাডেমি চত্বরে আয়োজিত এই বৈশাখী মেলা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি নগরবাসীকে ক্ষণিকের জন্য হলেও অনাবিল আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দেয়।


তিনি বলেন, দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ও প্রদর্শনের সঙ্গে রয়েছে মেলার নিবিড় সম্পর্ক। সিএমএসএমই পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ের স্থান হিসেবে মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু উৎপাদিত পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ই হয় না, নতুন নতুন নকশা, নমুনা, উৎস, দর ইত্যাদির সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের পরিচয় ঘটে। তাই পণ্যের বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের অন্যতম মাধ্যম হলো মেলা। এবারের বৈশাখী মেলায় একই সঙ্গে থাকছে আকর্ষণীয় ডিজাইন ও সুলভ মূল্যের বিভিন্ন স্বদেশি পণ্য। এছাড়াও রয়েছে জামদানি, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার, নকশিকাঁথা ও নকশি পণ্য, হস্ত ও কারুশিল্প পণ্য, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, বাঁশ ও বেতের পণ্য, মৃৎশিল্প পণ্য, শতরঞ্জি, শীতলপাটিসহ হরেক কমের স্বদেশি পণ্যের সমাহার।


মেলায় আরও রয়েছে মধু ও খাদ্যজাত পণ্য এবং শিশু-কিশোরদের জন্য বিনোদন ব্যবস্থা। বিসিকের উদ্যোগে দেশের কারুশিল্পীদের মধ্যে তাদের কাজের দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ একজনকে কারুশিল্পী পুরস্কার- ১৪২৯ প্রদান ও ৯ জন দক্ষ কারুশিল্পীকে কারুগৌরব পুরস্কার প্রদান করা হবে।


সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা বলেন, এশিয়া মহাদেশে একটি ঐতিহ্যের দিন হলো পহেলা বৈশাখ। আমাদের যে নববর্ষ সেটি নতুন ভাবেও উদযাপিত হচ্ছে। বাংলা একাডেমিতে বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছিল ৬০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে। আজও সেটি পালন করা হচ্ছে।


তিনি বলেন, কুটির শিল্পের এই পণ্য গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পণ্য। কুটির শিল্পের বৈশিষ্ট্য এটি অনেক বেশি মৌলিক। এই মেলা (বৈশাখী মেলা) একসময় গ্রামের বিভিন্ন মাঠে হতো। ধীরে ধীরে সেটি বাংলা একাডেমিতেও পৌঁছেছে।