সাপাহারে অনাবৃষ্টিতে ঝরে যাচ্ছে আম, শঙ্কায় চাষীরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৫৪ অপরাহ্ন, ১৮ই এপ্রিল ২০২৩


সাপাহারে অনাবৃষ্টিতে ঝরে যাচ্ছে আম, শঙ্কায় চাষীরা
ছবি: জনবাণী

আমের রাজধানী খ্যাত নওগাঁর সাপাহারে বৃষ্টির অভাবে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আম। চরম দাবদাহে ও অনাবৃষ্টির ফলে প্রায় প্রতিটি বাগান থেকে আম ঝরে যাচ্ছে। এই অবস্থা চলমান থাকলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন আম চাষীরা।  


সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা যায়, আম গাছের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আম পড়ে আছে। চলতি বছরে আমের পর্যাপ্ত পরিমাণ গুটি আসলেও অতিমাত্রায় খরার কারণে সেসব গুটি গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। এছাড়াও গাছে থাকা আমগুলোতে কালো দাগ দেখা যাচ্ছে। রসের অভাবে আমের বোঁটাগুলো ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। যার ফলে ধারণক্ষমতা না থাকায় বোঁটা থেকে আম খসে পড়ে যাচ্ছে। গত বছরে এই উপজেলার আমচাষীরা লাভবান হলেও বর্তমানে অনাবৃষ্টির কারনে আশঙ্কায় দিন গুণছেন তারা। 


স্থানীয় আমচাষী আবুল খায়ের (তরুন) ও  আনোয়ার হোসেন  বলেন, আমি প্রায় ১২ একর জমিতে আম চাষ করেছি। প্রচন্ড খরার কারণে আম ঝরে যাচ্ছে। গাছে সেচ দেবার মতো পানিরও তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। তারপরেও ক্রমান্বয়ে গভীর নলকূপ থেকে পানি সেচের ব্যাবস্থা করছি। কিন্তু সব জমিতে পানি সেচ দেওয়া সম্ভব নয়। যার কারনে অনেক লোকসান হতে পারে। 


আমচাষী মাহফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় ভালো মুকুল ছিলো। গুটিরও পরিমাণ ভালো ছিলো। কিন্তু অনাবৃষ্টিতে আমের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। বৃষ্টি নেই, রোদে পচন ধরে আম পড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বৃষ্টি না হবার কারনে আমের সাইজ বর্তমানে যতটুকু হবার কথা তার চেয়ে অনেক ছোট রয়েছে। 


তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, শঙ্কার তেমন কোন কোন কারণ নেই। বৈরী আবহাওয়া মোকাবেলা করে চলতি মৌসুমে আম  উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মরিুজ্জামান বলেন, এই অবস্থায় গাছের গোড়ায় পানি সেচ দেওয়ার বিকল্প নেই। তবে আম গাছেও পানি স্প্রে করা যেতে পারে। প্রতি ১ লিটার পানি সাথে ১ গ্রাম বোরন মিশ্রিত করে সেই পানি স্প্রে করলে আম ঝরা কিছুটা রোধ হতে পারে। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৯হাজার ২শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন।