সিরাজগঞ্জে শ্বশুরকে পেটালো জামাই ও স্বজনেরা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:১৫ অপরাহ্ন, ৩রা জুন ২০২৫

সিরাজগঞ্জে যৌতুকের দাবী নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বৃদ্ধ শ্বশুরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাই ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে। আহত শ্বশুর মো. আমির হোসেন (৬০) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
শুক্রবার (৩০ মে) রাতে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম নতুনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আমির হোসেন ওই গ্রামের মৃত শাহ আলী শেখের ছেলে। অভিযুক্ত জামাই মো. আব্দুল্লাহ (২৮) একই গ্রামের হাফেজ আতিকুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
আহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর আগে আমির হোসেনের মেয়ে হুসনেয়ারার সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে বিয়ে করে প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ। বিয়ের এক বছর পর থেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য শ্বশুরকে চাপ দেন তিনি। মেয়ের সুখের জন্য আমির হোসেন বাধ্য হয়ে দুই দফায় ৪০ হাজার টাকা দেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে সহযোগীতাও করে আসছিলেন। কিন্তু আব্দুল্লাহ ৫ লাখ টাক যৌতুকের জন্য স্ত্রী হুসনেয়ারাকে মারধর করে। দুই মাস আগে হুসনেয়ারাকে মারপিট করে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এসব নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তারই জের ধরে শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় মেয়ে জামাই আব্দুল্লাহর বড় ভাই শরিফ আমির হোসেনের মুদি দোকানে এসে তার ছেলে ইব্রাহিমকে চোখ তুলে ফেলার হুমকি দেয়। এ বিষয়টি জানাতে ওইদিন রাতে আমির হোসেন স্বজনদের নিয়ে আব্দুল্লাহ’র বাড়িতে যান। এ সময় আব্দুল্লাহ, তার ভাই শরিফ, মামাতো ভাই অনিকসহ পরিবারের লোকজন আমির হোসেন ও তার স্বজনদের উপর হামলা করেন। এক পর্যায়ে লোহার রড দিয়ে আমির হোসেনের মাথায় আঘাত করে অনিক। আবেদান, হাসিনুর, রুবেলকে বেদম মারটিক করতে থাকে তারা। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বাস মালিক সমিতির অবৈধ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবী
আহত আমির হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমার বাবার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় অভিযোগ দিতে পারিনি। আজকেই (মঙ্গলবার) থানায় মামলা করা হবে।
২ নং পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে বৃদ্ধ আমির হোসেন মাথায় গুরুতর জখম নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে যাই। রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আমরা এম্বুলেন্স ঠিক করে রোগীকে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ করা হয়নি।
এমএল/