বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারেরমতো ঝুঁকিভাতা চালু


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, ১৯শে এপ্রিল ২০২৩


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারেরমতো ঝুঁকিভাতা চালু
ছবি: বিএসএমএমইউ মিডিয়া সেল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নিয়মিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের জন্য প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন ঝুঁকিভাতা চালু করেছে। বছরে তাদেরকে কমপক্ষে ২টি ঝুঁকিভাতা প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রথম ঝুঁকিভাতা প্রদান করা হয়েছে। ঝুঁকিভাতা প্রাপ্ত হয়ে নিয়মিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের মাঝে বইছে আনন্দ উল্লাস।


ঝুঁকিভাতা পাওয়ায় সোমবার (১৭ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ। একই সাথে তারা উপাচার্য ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা ও দীর্ঘজীবন কামনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সবার মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। একই সাথে ঝুঁকিভাতা প্রাপ্ত সকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এর গতিশীল ও বহুমাত্রিক নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে উৎসাহের সাথে  বেশি বেশি কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।


নিয়মিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা চালু হওয়ায় দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হলো। এর আগে বিগত কয়েকটি প্রশাসনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা এই দাবি জানিয়ে আসলেও তা শুধু আশ্বাসের মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ ছিলো। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ স্যার ২০২১ সালের ২৯ মার্চ দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর অনেককিছুই বাস্তবায়ন হয়েছে যা এর আগের কোনো উপাচার্য করেননি।


অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো সাধারণ জরুরি বিভাগ চালু হয়েছে। আরেকটি হলো প্রায় এক হাজার কর্মচারীর চাকুরী নিয়মিত করা হয়েছে। আরো রয়েছে প্রথমবারের মতো ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগ চালু, প্রথমবারের মতো হেলথ কার্ড চালু, ইনফার্টিলিটির চিকিৎসায় স্টেম সেলের প্রয়োগ, হিজরা নামে পরিচিত তৃতীয় লিঙ্গের শিশুদের চিকিৎসার জন্য ডিসঅর্ডার অফ সেক্স ডেভেলপমেন্ট ক্লিনিক চালু, প্রথমবারের মতো গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের ত্রুটির ঝুঁকি নির্ণয়ে পরীক্ষা চালু, শিক্ষক ও চিকিৎসকদের মাঝে গবেষণা অনুদান বৃদ্ধি করে ৪ কোটি টাকা থেকে ২২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় উন্নীত, ব্রেন ডেথ রোগীর অঙ্গদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সফল ক্যাডাভেরিক কিডনি ও কর্ণিয়া ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন করা ইত্যাদি। 

এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে। নিয়মিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা চালু করাও এরকম একটি অনন্য ও অসাধারণ উদ্যোগ। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা চিরকাল স্মরণে রাখবেন।