বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢাকা জেলা প্রশাসনের অর্থ সহায়তা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, ২০শে এপ্রিল ২০২৩
বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সহায়তায় ও পুনবার্সনে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। অগ্নিকান্ডের পর থেকে ঘটনাস্থলে তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র খুলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের তালিকা প্রণয়ন সহায়তা করছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।
তালিকা অনুযায়ী ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দোকান কর্মচারীদেরকে ২৫০০০ টাকা করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রেরন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিনই ধাপে ধাপে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদেরকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১ কোটি ৩১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে আজও বঙ্গবাজারের ৬০জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে ২০ হাজার ও ১ লাখ করে সর্বমোট ২০ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সহয়তায় জেলা প্রশাসন, ধাকা'র উদ্যোগে এই অনুধান প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অর্থ সহায়তা বিতরণ করেন ঢাকার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, আজকের এ আয়োজন মহতী অনুষ্ঠান। ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এ আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ বিন্যানন্দের ডাকে সাড়া নিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বিদ্যানন্দ শুধু এ আয়োজন নয়, এরকম হাজারো ইভেন্ট করেছে স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি। ক্ষতিগ্রস্ত, দুঃস্থ মানুষের কল্যাণে তারা সবসময় পাশে দাঁড়িয়ে আসছে।
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, এটি মানবসৃষ্ট একটি বিপর্যয়। এই ঘটনার আগে ঢাকার ৭টি বাজার ও মার্কেটকে অতি ঝুঁকি ঘোষণা করা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি ছিল বঙ্গবাজার। আরেকটি বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে-সরকারের একার পক্ষে এ ধরণের দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়, বরং ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক সচেতনতার মাধ্যমে এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা চাইবো না বঙ্গবাজার তার আগের মতো অবস্থায় ফিরে যাক। ভবিষ্যতের বঙ্গবাজারটি আধুনিক বিপনিবিতান, শপিং মল হিসেবে গড়ে উঠুক। আর আপনারা (ব্যবসায়ীরা) সাহস হারাবেন না। আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়াবো।