নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, ২৮শে এপ্রিল ২০২৩
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বন্দর, জাহাজ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়’ বা ইংরেজিতে ‘মিনিস্ট্রি অব পোর্টস, শিপিং এন্ড মেরিটাইম এ্যাফেয়ার্স’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি নৌ-পরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় নেওয়া এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই এ প্রস্তাবটি সচিব কমিটির বৈঠকে উঠবে বলে জানা গেছে।
পরে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কার্যাবলি হচ্ছে সমুদ্র বন্দর, নদী বন্দর ও স্থল বন্দর স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা করা, দেশীয় মালিকানায় আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী সকল ধরনের নৌ-যানের অনুমোদন ও লাইসেন্স প্রদান, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নৌ-যান পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রটোকলে অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধি প্রেরণ, দেশীয় পর্যায়ে আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন, আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় পর্যায়ের নৌযানসমূহের জন্য দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা; অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা রক্ষা ও নৌপথের সীমানা নির্ধারণ করা।
এছাড়া আন্তর্জাতিক নৌ বাণিজ্য, জাহাজ চলাচল ও সমুদ্র বন্দর, নদী বন্দর ব্যবস্থাপনা, মেরিটাইম, মেরিটাইম শিক্ষাসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বিভিন্ন পর্যায়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সম্পাদন করা, সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষণে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধি ও কার্যাবলির সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বর্তমান ‘নৌ পরিবহন’ নামটি সামঞ্জস্য না হওয়ায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক বৈদেশিক এবং দেশীয় ফোরামে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় বা কখনো কখনো ব্যাখ্যা প্রদান করতে হয়।
ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মেরিটাইম ও নৌ সেক্টরকে অধিকতর স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় ‘মিনিস্ট্রি অব পোর্টস, শিপিং এন্ড মেরিটাইম এ্যাফেয়ার্স’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।