গলাচিপায় পূর্ব শত্রুতার জেরে পোল্ট্রি ফার্মে আগুন দেওয়ার অভিযোগ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:৫৪ অপরাহ্ন, ২রা মে ২০২৩
জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝগ্রাম এলাকায় পোল্ট্রি ফার্মে আগুন ও বসতঘরে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে।
মামলা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, ১০ এপ্রিল সকাল ১০ টায় গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝগ্রাম এলাকার মৃত আবদুল আলী মল্লিকের ছেলে জহিরুল ইসলাম মল্লিক এর বসতঘরে একই বাড়ির মৃত শামসুদ্দিন মল্লিকের ছেলে আসামী ফারুক মল্লিক(৩৫),মজিবর মল্লিক (৩৩) ও স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫২)ও মৃত শাহাবুদ্দিন মল্লিকের স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৫০) এসে হামলা চালায়। এবং ৯ ই এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে পোল্ট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এতে করে জহিরুল ইসলাম মল্লিকের ফার্মে থাকা প্রায় ৬শত মুরগী মারা যায় বলে জানান তিনি।
এবিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা ও উভয়দের সাথে কথা হয়। এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি সাথেও কথা বলে যানা যায় উভয়ই একই বাড়ির আত্মীয় স্বজন। এদিকে জহিরুলের করা মামলার কথা শুনে উল্টো আসামীরা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ফিরোজা বেগমকে বাদী করে জহিরুল ইসলাম মল্লিককে আসামী করে গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি আর মামলা নং-৩১১/২৩ মামলা দায়ের করেন। এই মামলাটা নিয়ে ফিরোজা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন জহিরুলের গরু ও ছাগলে আমাদের বসত বাড়ির অনেক গাছপালা নষ্ট করেছে। এ নিয়ে একটু কথা কাটা কাটি হয়। তখনি পারভীন, রানী, জহিরুল,ও তার ভাইসহ আমার বসতঘরে হামলা করেছে ও মারধর করেছে।
এদিকে জহিরুলের পক্ষে কথা বলেন আমিনুল মল্লিক, শাহিন মল্লিক, মাহাবুব হাওলাদারসহ আরো অনেকে। তারা বলেন কাজ থেকে বাড়ি এসে দেখে ফার্মে আগুন জ্বলতে দেখে ডাক চিৎকার দিলে জহিরুল ইসলাম মল্লিক ও তার স্ত্রী পারভীন বেগম বেড় হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এসময় ফার্মে থাকা প্রায় ৬শত মুরগী ছিলো। এবং তারা আরো বলেন এই জায়গা জমি নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে।এবিসয়টি নিয়েও অনেক বার সালিশ ব্যাবস্থার কথা থাকলেও তা আর সমাধান হয়নি।
স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বশির মল্লিক বলেন এসব ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগা বা টাকা পাইবে এসব বিষয়ে বলেনি আর আমি জানিনা। তবে শামসুদ্দিন মল্লিকের স্ত্রী ফিরোজা বেগমের সাথে আগের দিন মারামারি হয় থানায় অভিযোগও হয়েছে। তাদেরকে ডেকেছে তারা যায়নি। তারা উভয়ই আমার কাছে আসছে আমি বলি থানায় গেলে কি হবে। থানায় গেলেও তো আমরা ফয়সালা করবো।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন ফিরোজা বেগম এই স্বর্ন গয়না আর টাকার বিষয়টি এগুলো ভুল ও মিথ্যা।
এবিষয়ে ৪নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মুঠো ফোনে বলেন আগুন লাগা ও মারধর এর ঘটনা আমাকে জানিয়েছে। উভয়ই আদালতে মামলা করেছে এটা আমি জানি। এবিষয়টি নিয়ে জহিরুলের স্ত্রী মামলার বাদী পারভীন বেগম আইনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবী করেন।