‘বিশ্বস্ত’ বাংলাদেশি কর্মচারীর বিয়েতে এলেন সৌদির চাকরিদাতা


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, ৫ই মে ২০২৩


‘বিশ্বস্ত’ বাংলাদেশি কর্মচারীর বিয়েতে এলেন সৌদির চাকরিদাতা
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বাসী ও বিনয়ী এক কর্মচারীর বিয়েতে অংশ নিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন সৌদি আরবের এক নাগরিক। বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার আগ্রহ ও বিয়ের দাওয়াত পেয়ে সালেহ আল সেনাইদি নামের ওই ব্যক্তি বাংলাদেশে ঘুরে যান।


সৌদি নিউজ পোর্টাল সাবকের সঙ্গে নিজের বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন সালেহ আল সেনাইদি। তিনি জানিয়েছেন, এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানী ঢাকার কাছের একটি গ্রামে, নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর বিয়েতে এসেছিলেন তিনি।


বুধবার (৩ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে গালফ নিউজ।


তিনি বলেছেন, ‘তাকে আমি পাঁচ বছর ধরে চিনি। সততা ও বিনয়ীর জন্য এবং আমার প্রতিষ্ঠানের সম্মান বজায় রাখার জন্য তার ওপর আমি অনেক বেশি নির্ভরশীল।’


তিনি আরও বলেছেন, ‘সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের মধ্যে দূরত্ব ঘুচানো, আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব এবং মানবিকতা বৃদ্ধি করা, নতুন অভিজ্ঞতা নেওয়া এবং অন্যদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা।’


‘যখন সে তার বিয়ের অনুষ্ঠানে আমাকে সামিল হওয়ার জন্য বলে, আমি সঙ্গে সঙ্গেই তার দাওয়ার গ্রহণ করি।’ বলেন আল সেনাইদি।


এছাড়া বাংলাদেশিদের আতিথেয়তায় বেশ মুগ্ধ হয়েছেন এ সৌদি নাগরিক। তিনি জানিয়েছেন, অনেকেই তাকে তাদের বাড়িতে দুপুরের-রাতের খাবার অথবা চা পানের জন্য জোরাজুরি করেছেন।


তিনি বলেছেন, ‘তারা আমাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সম্মানে অভিভূত করেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা মতো নয়। এ সফরটির বেশ ভালো ছিল। ওই বিভাগের সবাই আমাদের চিনেছে।’


এছাড়া বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের বিয়ের মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পেয়েছেন জানিয়ে আল সেনাইদি বলেছেন, ‘উদাহরণস্বরূপ, বরকে বিয়ের অনুষ্ঠানে গাড়িতে করে নিয়ে যান তার বাবা, চাচা এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা। বিয়ের অনুষ্ঠান হয় কনের বাড়িতে।’


সৌদি আরবে যেসব প্রবাসী কাজ করেন তাদের প্রতি অন্য চাকরিদাতাদের বিনয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়া আল সেনাইদি। তিনি বলেছেন, ‘তারা আপনাদের ভাই। তাই তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য বা নিচু দৃষ্টিতে দেখবেন না। আপনাদের মতো তারাও মানুষ। পারিপার্শ্বিক কারণে তারা নিজ দেশ ছেড়ে অন্যদেশে এসেছেন।’


এদিকে বাংলাদেশের কোন জেলায় তিনি এসেছিলেন বা ওই বাংলাদেশির নাম কি সেটি জানাননি আল সেনাইদি।