খাগড়াছড়ির উজ্জ্বল নক্ষত্রের বিদায়,শোকে স্তব্দ খাগড়াছড়ি
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, ৬ই মে ২০২৩
খাগড়াছড়িবাসীকে কাঁদিয়ে বিদায় নিয়েছে পাহাড়ি এ জেলার উদিয়মান উজ্জ্বল নক্ষত্র মো: ইব্রাহীম খলিল। প্রায় ৪০ বছর বয়সি এ যুবক রাজনৈতিক জীবন থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত জীবনে ছিলো হাস্যজ্জ্বল মিশুক স্বভাবের। তিনি ১ ছেলে ১ কণ্যা সন্তানের পিতা হলেও রেখে গেছে স্ত্রী,পিতা-মাতাসহ অসংখ্য গুণগাহী।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্প্রতিবার শেষ বারের মত লাখ মানুষের অন্তরে স্থান করে নেওয়া খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ও বিশিষ্ঠ তরুণ সফল ব্যবসায়ী,ঠিকাদার মো: ইব্রাহীম খলিল পরপারে পারি দেওয়ার খবরে শোকে স্তব্দ হয়ে খাগড়াছড়িবাসী।
প্রিয় মানুষের জন্য কান্না যেন থামছেই না। মৃত্যুর আগে দীর্ঘ ৭দিন চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলেন তিনি। বৃহস্প্রতিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় কবর স্থানে ইব্রাহীম খলিলের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে খাগড়াছড়ি সরকারি হাই স্কুল মাঠে সর্বকালের সর্বোচ্চ মানুষের উপস্থিতিতে নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জনপ্রিয় এ নেতার।
সকালের দিকে চট্টগ্রাম থেকে এম্বুলেন্সে করে মরহুমের লাশ তার খাগড়াপুস্থ নিজ বাড়িতে আনা হলে সেখানে ঘটে হৃদয় বিদারক এক দৃশ্যের। স্বজন ও প্রিয় মানুষের জন্য কান্নায় ভারী হয়ে উঠে জেলার পরিবেশ। শোক ও সমবেদনা জানাতে জড়ো হয় হাজার হাজার শুভাকাঙ্খী।
মৃত্যুকালে স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন ইব্রাহিম। তার মৃত্যুতে খাগড়াছড়ির সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়াসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ইব্রাহিমের মৃত্যুতে পৃথক পৃথক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও দল,মত নির্বিশেষে শোক ও মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিলের দাফনের আগে দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানায়। জানাজায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইঁয়া,খাগড়াছড়ির সাবেক মেয়র রফিকুল আলম,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলম,দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান মো: কাশেমসহ কেন্দ্রীয় যুবদল ও বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও দল মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ এতে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ব্রেইন স্ট্রোকে বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইব্রাহিম খলিল শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি শালিকার বিয়েতে ফেনী গিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোক করে। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম এভার কেয়ার হসপিটালে নেওয়া হয়। পরে শুক্রবার(২৮ এপ্রিল) মধ্যরাত তার ব্রেনে অপারেশন হয়। এর পর থেকে টানা নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি।
ইব্রাহিম খলিল বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তিনি খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। খাগড়াছড়ি পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন।
আরএক্স/