পাহাড়ের লিচুর কদর বেশি যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, ৮ই মে ২০২৩
চলতি বছরে বিগত বছরগুলোর চেয়ে নানিয়ারচরে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় পাহাড়ি লিচু দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা আছে অনেক, এ কারণে রাঙ্গামাটির বাজারগুলোতে বেড়েছে পাহাড়ি লিচুর কেনা-বেচা। চাহিদা বেশি থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।
নানিয়ারচর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবার এ উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে 2 হাজার টনের বেশী লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তার বেশি উৎপাদন হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি বাজারগুলোতে কিছুটা লিচু কেনাবেচা শুরু হয়েছে । পরিপক্ব লিচু পাতাসহ দেখতে আলাদা এক অনুভূতি । প্রতিদিনই পাহাড়ের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে বাজারে আনা হচ্ছে এসব লিচু।
জেলার কুতুকছড়ি,ঘিলাছড়ি,নানিয়ারচর,বরকল,বাঘাইছড়ি,শুভলং,বনরুপা,কাপ্তাইের বাজার গুলোতে লিচুর আকার অথবা সাইজ ও রঙের ওপর নির্ভর করেই হাঁকা হচ্ছে দাম। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দর কষাকষির পরেই মূল্য নির্ধারণের পর বেচাকেনা শেষ হচ্ছে।
মো. কবির হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, এ বছর আমার লিচু বাগানে ভালো ফলন হয়েছে। তাছাড়া, বাজারে লিচুর ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এতে আমরা অনেক খুশি। বর্তমানে দেশী ও বোম্বাই জাতের মধ্যে চাহিদা প্রচুর। তবে বিদেশী জাত চায়না থ্রী ১০০ লিচু ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
নানিয়ারচর বুড়িঘাটের মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান (মেম্বার) বলেন, পাহাড় থেকে ফল কিনে বিভিন্ন জেলাতে পাঠাতে আমার পরিবহণ খরচ বেশি হচ্ছে। যার ফলে আমাদের লাভ পেতে কষ্ট হচ্ছে।তবে এবছর এ উপজেলায় লিচুর উৎপাদন ভালো দেখা যাচ্ছে।
নানিয়ারচর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, জেলা কৃষি সম্প্রাসারন অধিদপ্তরের নির্দেশমতে উৎপাদন ঠিক রাখতে উন্নত ও দেশি জাতের লিচু চাষে কৃষকের আগ্রহ সৃষ্টির জন্য আমরা কাজ করছি। এছাড়া ফলন ভালো করতে কোনো ধরনের কীটনাশক ব্যবহার না করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, পাহাড়ে বিভিন্ন ফল উৎপাদনের জন্য।
আরএক্স/