পুষ্টিগুণ বেশি পেতে কীভাবে ডিম খাবেন?
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, ৮ই মে ২০২৩
ডিমে পুষ্টিগুণের মাত্রা অনেক বেশি। এত স্বল্প মূল্যে এত বেশি পুষ্টি অন্য কোনো খাবারে খুঁজে পাওয়া দূরহ ব্যাপার। তবে ডিম খাওয়া নিয়ে কিছু ভুল ধারণাও প্রচলিত আছে। সেসব ভূলের কারণে অনেক সময় আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুন থেকে বঞ্চিত হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিম ভীষণ উপকারী একটি খাবার। তবে এটি কীভাবে খাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে কতটা পুষ্টিগুণ পাবেন।
ডিমের পুষ্টিগুণাগুণ
সাধারণত একটি ডিমের ওজন প্রায় ৫০ গ্রামের মতো হয়ে থাকে। একটি ডিম থেকে প্রায় ৬ গ্রামের মত প্রোটিন পাওয়া যায়। আমাদের শরীর এই প্রোটিন খুব সহজেই গ্রহণ করে থাকে। যে কারণে ছোটবেলা থেকেই ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে স্বাস্থ্যবিদগণ। ডিমে আরও থাকে পটাশিয়াম,ফোলেট, জিঙ্ক,সোডিয়াম,ওমেগা ৩, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি,ইত্যাদি। প্রতিনিয়ত ডিম খেলেও তাই কোনো ধরনের সমস্যা হয় না শরীরে। বরং এতে শরীরকে সুস্থ রাখা অনেকটা সহজ হয়।
ডিম সম্পূর্ণ সেদ্ধ না কি আধা সেদ্ধ খাবেন?
বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন, আধা সেদ্ধ ডিম খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। এই ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। বরং সম্পূর্ণ সেদ্ধ ডিম খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী। কারণ আধা সেদ্ধ ডিমে থাকতে পারে সালমোনেল্লা নামক এক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। যার ফলে আধা সেদ্ধ ডিম খেলে বমি, ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই আধা সেদ্ধ ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভাল।
কাঁচা ডিম কেন খাবেন না
কেউ কেউ বেশি পুষ্টিগুণের আশায় কাঁচা ডিম খেয়ে থাকেন। এতে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় বলে তাদের ধারণা। এটিও সম্পূর্ণ ঠিক নই বরং পুরোপুরি ভুল ধারণা।কেননা এভিডিন নামক এক ধরনের প্রোটিন থাকে কাঁচা ডিমে। যা আমাদের শরীরে বায়োটিনকে কাজ করতে বাঁধা দেয় এই প্রোটিন। যার ফলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি সাধন হয় কাঁচা ডিম খেলে। তাই কারো কাঁচা ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দেওয়া জুরুরী।
ডিম ভাজা কিংবা পোচ কীভাবে খাবেন
ডিম সেদ্ধ করে খাওয়াই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। তবে ডিম ভাজা কিংবা পোচ করেও খেতে পারেন। এক্ষেত্রে তেলের ব্যবহার যেন কম থাকে সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ডিম ওয়াটার পোচ করে খেতে পারেন। এতে তেল থাকে না আর খেতেও সুস্বাদু লাগে। তাই এভাবে ডিম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
ডিমের কুসুম কী ক্ষতিকর?
ডিমের কুসুমে থাকা ফ্যাটের কারণে,সেটি বাদ দিয়ে খান অনেকেই। তবে প্রতিদিনে কুসুমসহ একটি ডিম খেলে কোনো সমস্যা হয় না। এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাটের চাহিদা বেশিরভাগই পূর্ণ হয়। তবে যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি,তারা ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।