শ্রমিকের বিশ্বস্ততায় সৌদি আরবের কফিল এখন ঘাটাইলে


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:৩৯ অপরাহ্ন, ৮ই মে ২০২৩


শ্রমিকের বিশ্বস্ততায় সৌদি আরবের কফিল এখন ঘাটাইলে
ছবি: জনবাণী

বিশ্বাস ও প্রেম মহাকাল আর মহা-দূরত্বকে সু-প্রাচীন সময় থেকেই  করেছে সসীম। প্রকৃতজনরা, সে বিশ্বাস আর প্রেমে বিবর্তিত না হয়ে, হয় আবর্তিত। 


তারই দৃষ্টান্ত হিসেবে সু-দূর সৌদি আরব থেকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রামদেবপুর (চকচকিয়া) নামক প্রত্যন্ত গ্রামে এসেছেন মোহাম্মদ শাহারানী নামে এক সৌদিয়ান কফিল।


সোমবার (৮ মে) কথা হয় এই সৌদিয়ানের সাথে। আতিথ্য স্বীকারসহ বাংলাদেশের মাঠ-ঘাট ও সবুজের ছায়াতলে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য নিয়েই সময় কাটাচ্ছেন বলে জানান তিনি।


জানা গেছে, ঘাটাইলের মো. আজাহার উদ্দিন ও তার ভাতিজা জামাল হোসেন প্রায় ২০ বছর সৌদি আরবে এই কফিলের অধীনেই কাজ করতেন এবং সেখান থেকেই গড়ে উঠে শ্রমিকের সাথে মালিকের প্রেম, বিশ্বাস ও সম্মান। পাঁচ বছর আগে আজাহার ও জামাল একেবারে দেশে চলে এলেও ভেঙ্গে যায়নি শ্রমিক-মালিকের সেই  সুসম্পর্ক। নিয়মিত-ই যোগাযোগ ছিলো এবং সবশেষ গত ২৬ এপ্রিল বিশ্বস্ত শ্রমিক ও বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল দেখতে তাদের বাড়িতে ছুটে এসেছেন এই সৌদিয়ান। আধো আধো বাংলাতে কেমন আছেন! ধন্যবাদ! এই জাতীয় কথা তার মুখে শুনে অনেকেই হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন। এছাড়া এক নজর মানুষটিকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন প্রতিবেশীসহ দূর এলাকার মানুষরাও। বাজারের চা-স্টলগুলোতেও জমে উঠেছে বেঁচা-কেনা। সব মিলিয়ে দারুন একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এ পাড়ায়।


জামাল হোসেন তার কফিল বাড়িতে আসা সম্পর্কে  বলেন, খুব বিশ্বস্ততার সাথে আমি ও আমার চাচা সৌদি আরবে উনার কোম্পানিতে দীর্ঘ ২০ বছর কাজ করেছিলাম। আমরা চলে এসেছি পাঁচ বছর হলো, তবে নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো। অতঃপর, উনাকে আমার বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ জানালে তিনি রাজি হয়ে গত ২৬ এপ্রিল এখানে আসেন। এতো বড় মাপের মানুষ আমার বাড়িতে এসেছেন, আমি ধন্য। 


আরবিতে মোহাম্মদ শাহারানীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী, আবা জেলা সদরেই বাড়ি। পুলিশের কর্মকর্তা (ছুরতা মুদির) হিসেবে নাজরান জেলার শরুরা থানায় তিনি দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে রিটায়ার্ড। তিন পুত্র (আলী, আবদুল্লাহ, আল-বারাহ) ও দুই কন্যা সন্তান ছাড়াও এক স্ত্রী রয়েছে তার। চলতি মাসের ২৩ তারিখে নিজ দেশ সৌদি আরবে চলে যাবেন বলে তিনি জানান।