Logo

১৬ লাখ টাকায় কলেজছাত্রীর সঙ্গে আপস করলেন এএসআই!

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
২২ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:৩১
51Shares
১৬ লাখ টাকায় কলেজছাত্রীর সঙ্গে আপস করলেন এএসআই!
ছবি: সংগৃহীত

তাই আর কোনো ঝামেলা বাড়াইনি

বিজ্ঞাপন

টাঙ্গাইলে পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শককে (এএসআই) বিয়ে করা কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার ১৬ লাখ টাকার বিনিময়ে আপস মীমাংসা করেছেন। রিয়ার চাচার থেকে জানাযায়, ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্লাকমেল করে মোটা অঙ্কের টাকা কাবিন করে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছিল রিয়া। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়। গত ৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইল আদালতে অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন তালাকের মাধ্যমে এই আপস করিয়ে দেন। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে একজন অ্যাডভোকেট ও তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিল।

কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের রাজা খানের মেয়ে ও করটিয়া সাদত কলেজের শিক্ষার্থী। বিয়ে করা এএসআই জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বলদিঘাট এলাকার সাহাবউদ্দিনের ছেলে। তিনি নাগরপুর থানা থেকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বদলি হয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানায় যোগদান করেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার বলেন, যেহেতু সে আমার সঙ্গে আর সংসার করবে না। তাই আর কোনো ঝামেলা বাড়াইনি। কাবিননামার ১৫ লাখ এবং তিন মাসের খরচ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে তালাকের মাধ্যমে আপস-মীমাংসা হয়েছে। আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমেই তালাক হয়ে দু-পক্ষের মধ্যে আপস-মীমাংসা করা হয়।

এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষ থেকে আসা এরশাদ বলেন, মেয়েটা আগে টাকা হাতে নেওয়ার পর তারপর তালাকনামাসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে সই করেছে। রিয়া টাকা ছাড়া সে সময় কিছুই বোঝেনি।

বিজ্ঞাপন

রিয়া আক্তারের চাচা বাদল মিয়া বলেন, নাটিয়াপাড়ার পাটখড়ি এলাকার একটি ছেলের সঙ্গে রিয়ার ইতোপূর্বে বিয়ে হয়েছিল। কয়েক মাস পর আর সে সংসার করেনি। পরে যৌতুকের টাকা আদায় করার পর ওই ছেলেকে তালাক দেওয়া হয়। তার বিষয়ে কী বলব, বললে নিজেদের ঘরের সম্মান থাকে না। ওই পুলিশের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করতে গিয়ে আবাসিক হোটেলে ধরা পড়েছিল। পরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই পুলিশকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছিল। তার উদ্দেশ্যই ছিল কাবিনের টাকা আদায় করা। তার এই আচরণের কারণে আমরা বিব্রত হই বিভিন্ন স্থানে।

বিজ্ঞাপন

টাঙ্গাইল আদালতে অ্যাডভোকেট ও রিয়ার আইনজীবী নাজিম উদ্দিন বলেন, কত টাকায় আপস হয়েছে, সেটা আমাকে বলেনি। আসামিপক্ষের আইনজীবী ও তার স্বজনরা আদালতে এসেছিল। পরে তালাকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি।

বিজ্ঞাপন

এমএল/ 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD