জেনে নিন এলার্জি কমানোর উপায়


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:২৯ অপরাহ্ন, ৮ই মে ২০২৩


জেনে নিন এলার্জি কমানোর উপায়
ডা. হারুন আল মাকসুদ

অনেকেই এলার্জির জ্বালাযন্ত্রণায় অস্থির। তাই আজকে জানাবো এলার্জি থেকে বাঁচার উপায় ও এলার্জি কমানোর উপায়। একইসাথে জানাবো কিভাবে আমি এলার্জি থেকে চিরতরে মুক্তি পেলাম। 


এলার্জি একটা অসহ্যনীয় ব্যাধি। যা জীবনকে নিয়মিত তিক্ত করে গড়ে তোলে। এলার্জিতে হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য ও ওষুধের ভীষণ প্রতিক্রিয়া ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।


দীর্ঘকাল এলার্জি থেকে আপনার হাঁচি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। তখন আপনার কাছে মনে হবে জীবন মানে বেদনা।


এলার্জি কতটা ভয়ংকর রূপ নিতে পারে এটা শুধু  ভুক্তভোগীরাই বুঝে। 

হয়তো বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়েছি তখনই দেখা দিলো প্রচন্ড এলার্জি।


সারা গায়ে চুলকানি, শেষ পর্যন্ত আর খেলা হয়নি।অথবা প্রিয়জনের সাথে ঘুরতে গিয়েছি। হালকা রৌদ্র বা হালকা দৌড়াদৌড়িতেই সারা গায় চুলকানি শুরু।এই নিয়ে কয়েক-ডজন ডাক্তারও পরিবর্তন করেছি। কোন কাজেই আসলো না।


এলার্জি কমানোর উপায়: 


যতদিন ওষুধ চলতো ততদিন ভালো। ওষুধ শেষে আবার আগের মতোই শুরু হতো। তাই আমি এলার্জি কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেক চিন্তা করি।


পরে এ নিয়ে অনেক দিন রিসার্চ করি। এই লেখাটার উপর কাজ করলে আপনার এলার্জি ভালো হয়ে যাবে।


এলার্জি হলো ঘরোয়া চিকিৎসা:  

এলার্জির কিছু পদ্ধতি পালন করতে পারেন। এলার্জি কমানোর উপায় হিসেবে এটি দারুণ কাজে দিবে।


১) এক কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিবেন।

২) ওই নিম পাতা গুলোকে পাটায় পিষুন এবং ভালো করে গুড়ো করুন।

৩) ভালো একটি পট/বতল (কৌটায়) ভরে রাখুন।

৪) পটটা (কৌটা) শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় রাখুন।

৫) এক গ্লাস আর্সেনিক মুক্ত পানি নিন।

৬) এক চা চামচের অর্ধাংশ নিম অথবা এক তৃতীয়াংশ নিম ওই পানিতে ঢালুন।

৭) এক চা চামচ ইসবগুলের ভুসিও ওই পানিতে ঢালুন।

৮) নিম পাতা ও ভুসিকে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।

৯) আধা ঘন্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।

১০) সকালে খালি পেটে এক গ্লাস নিমের শরবত পান করুন।

১১) দুপুরে ভরা পেটেও এক গ্লাস নিমের শরবত পান করুন।

১২) রাতে ঘুমানোর পুর্বেও এক গ্লাস নিমের শরবত পান করুন।

১৩) কোন ধরনের কোন বিরতি ছাড়াই টানা ২১ দিন পান করুন।

১৪) সাত দিন থেকে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ফলাফল পাবেন  ইনশাআল্লাহ।

১৫) শরবত খাওয়ার ২১ দিনে ওইসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ।এলার্জি যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন। লেখক: ডাঃ হারুন আল মাকসুদ। রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগ। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।


লিখেছেন:  ডা. হারুন আল মাকসুদ