অসময়ে নাগরপুরে যমুনায় তীব্র ভাঙ্গন

বসতবাড়ি ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন, হুমকির মুখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, ৯ই মে ২০২৩


বসতবাড়ি ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন, হুমকির মুখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ছবি: জনবাণী

যমুনা নদীর তীরবর্তী টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবারিয়া ইউনিয়ের বিভিন্ন গ্রামে অসময়ে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। ইতিমধ্যে বহু ঘর-বাড়ি ফসলি জমি ও গাছ-পালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। ভাঙনের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের বাসিন্দারা। সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃশ্ব হয়েছেন অসংখ্য পরিবার। এখনি ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে রাক্ষসী যমুনা পেটে যাবে বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু স্থাপনা। 


সরেজমিনে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা বলরামপুর গিয়ে দেখা যায়, চৈত্র-বৈশাখ মাসের শুষ্ক মৌসুমেও যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, কালভার্ট, বহু বসতবাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা  হয়ে পরেছে নদীর পাড়ের মানুষ।


ভাঙ্গনের শিকার মীর মোয়াজ্জেম হোসেন, রাশেদা বেগম ও রমজান শেখ জানান, গত বছর তাদের বসতবাড়িসহ বহু আবাদী জমি যমুনায় চলে গেছে। এবারও অসময়ের ভাঙ্গনে তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। ভাঙ্গন অব্যহত থাকলে কিছু দিনের মধ্যে গোটা গ্রাম বিলীন হবার আশংকা করছেন তারা। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী বাধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।


বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গন এতটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এতে এলাকার শিশুদের পড়া লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। 


ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শাকিল বলেন, নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙ্গনের মুখে। স্কুলটি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহতি করা হবে।


এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহতি করা হয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।