মৌসুমি ফল পাকা আমের যত গুনাগুণ
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, ১০ই মে ২০২৩
পাকা আমের মৌ মৌ গন্ধে চারিদিক পাগল হওয়ার দিন এসে গেছে। আমের জন্য সারা বছরের অপেক্ষা যাদের, তাদের অপেক্ষার পালা শেষ হবে এবার। সুমিষ্ট এই আম খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষের সংখ্যা নেই বললেই চলে। গ্রীষ্মের প্রখর তাপে রসালো এই ফল যেন প্রাণ ঠান্ডা করার এক মুখ্য উপায়। এদিকে বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, আম খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। এ কথার কতটা সত্যতা কতটুকু ?
আম খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে, এই ধারণার পেছনে জোরালোভাবে কাজ করে এর তীব্র মিষ্টতা। আমের তীব্র মিষ্টতার কারণে প্রায় মানুষের ধারণা রয়েছে, আম বেশি খেলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের খাওয়ার তীব্র ইচ্ছা থাকলেও বেশি আম খেতে পারেন না। আম খেলেই যে ওজন বৃদ্ধি পাবে এমন ধারণার সঠিক কোনো ভিত্তি নেই। বরং আম খাওয়ার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হতে পারে।
মেদ কমায়
যারা অতিরিক্ত মেদ নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তারা আমের সময় প্রতিদিন আম খেতে পারেন। কারণ হলো, আমের খোসায় থাকে ফাইটোকেমিক্যাল যা মেদ কমাতে বেশ কার্যকরী।এখানেই শেষ নয়, আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর তন্তুও। যে কারণে আম খাওয়ার পরেও অনেকটা সময় পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। তাই ঘন ঘন ক্ষুধা লাগে না। যারফলে ফ্যাটযুক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহও কমে যায়। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়।
ত্বক মসৃণ রাখে
অতিরিক্ত কোনোকিছুই শরীরের জন্য ভালো নয়। যত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধই হোক না কেন, কোনো খাবারই প্রয়োজনের থেকে বেশি খাওয়া যাবে না। একথা আম
খাওয়ার ক্ষেত্রেও সত্য। শরীরের পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও এর পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরমিাণ মতো খেলে ওজন বৃদ্ধি কিংবা অন্য কোনো সমস্যার ভয় থাকবে না। এই ফলে থাকে প্রচুর পরমিাণ ভিটামিন এ এবং সি। যে কারণে আমের পুষ্টিগুণ ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। তাই এই গরমে প্রতিদিন পরমিাণ মতো আম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ক্যান্সার রোধ করতে কাজ করে
ক্যান্সারের মতো মরণঘাতি রোগ দূরে রাখতে কাজ করে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল আম। কারণ এই ফলে থাকে প্রচুর পরমিাণে বেটা-ক্যারোটিন। যা এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মরণঘাতি ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে। তাই মরণঘাতি ক্যান্সারকে রোধ করতে নিয়মিত আম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ভালো রাখে
সুস্থ থাকার জন্য হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ভালো রাখা জরুরী। এই কাজে সাহায্য করতে পারে আম। এই আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন। এসব পুষ্টি উপাদান হৃদরোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।