ঘূর্ণিঝড় মোখা
সেন্টমার্টিন ছেড়েছে ২০০ পরিবার, ১৭ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:৫৩ অপরাহ্ন, ১২ই মে ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড়ের গন্তব্য কক্সবাজার। এটি কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন্স দ্বীপসহ মিয়ানমারের উপকূল এবং এর আশেপাশের উপর দিয়ে বয়ে যাবে। এমনটাই জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা আতংকিত হয়ে দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ আসতে শুরু করেছে। ট্রলারে যোগে দ্বীপের আতংকিত এসব মানুষ টেকনাফ আসছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দ্বীপের অনন্ত ২০০ পরিবারের দেড় হাজারের কাছাকাছি মানুষ টেকনাফ আসার তথ্য পাওয়া গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, কত সংখ্যক মানুষ দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ চলে এসেছে তার সঠিক পরিসংখ্যা বলা যাচ্ছে না। তবে দ্বীপে ব্যবসার জন্য অবস্থান নেয়া বাইরে লোকজন এবং দ্বীপের কিছু সংখ্যক মানুষ টেকনাফে এসেছে। দ্বীপের মানুষরা দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হলে টেকনাফের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে চলে আসার প্রবণতা রয়েছে। এটা তাই অংশ।
তিনি জানান, আতংকের কোন কারণ নেই। দ্বীপে ১৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্র মানুষদের আশ্রয় নেয়ার জন্য নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছেন। দ্বীপের মানুষদের ওখানে আশ্রয় নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
দ্বীপের জনপ্রতিনিধি খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, দ্বীপের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। স্কুল, হোটেল ও রিসোর্টগুলো আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দা। এরই মধ্য ট্রলারযোগে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছেড়েছেন দেড় হাজারের মতো বাসিন্দা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, প্রশাসন মানুষজনের নিরাপত্তায় সর্ব্বোচ সজাগ রয়েছে। বিশেষ করে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষের জীবন রক্ষা সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শঙ্কিত না হয়ে মানুষজনের সচেনতার বিকল্প নেই।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে কক্সবাজারের পরিস্থিতি তেমন পরিবর্তন হয়নি। সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ হলেও দুপুরের পর থেকে স্বচ্ছ রোদ এবং তাপদাহ রয়েছে।