মোখা: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:০৮ অপরাহ্ন, ১২ই মে ২০২৩


মোখা: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক
স্বেচ্ছাসেবক

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।


এর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। যারা ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে পাহাড়ের উপরে ও পাদদেশে যারা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে তারা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেবেন। এর জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশে-পাশের নিকটবর্তী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছুদ্দৌজা নয়ন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি বিষয়ে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছ। সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার সব ধরনের প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পগুলোতে সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পে স্কুল, ও মসজিদ-মাদ্রাসাসহ মজবুত সেন্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’


তিনি বলেন, সম্ভাব্য দুর্যোগে সমন্বিতভাবে কাজ করার প্রস্তুতি নিয়েছে জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ  রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছ্বাসেবক, রেডক্রিসেন্টসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, পুলিশ সেখানে সমন্বিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলোকে। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি মেডিকেল টিম ও মোবাইল মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তাৎক্ষনিক কাজ করবে ‘সাইট ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ’।


অতিরিক্ত শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছুদ্দৌজা নয়ন আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে রোহিঙ্গা শিবিরের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরিভাবে সরবরাহের জন্য ত্রিপল, বাঁশ, সুতলি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব উপকরণ সরবরাহ করা হবে।


তিনি বলেন, ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী ভূমিধস কিংবা বন্যা দেখা দিলে সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ারও প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন সংস্থা সেখানে সমন্বিতভাবে কাজ করবে। 



আরএক্স/