পাকিস্তানের বিভক্ত রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, ১৪ই মে ২০২৩
রায়হান আহমেদ তপাদার: ইমরান খান ২০১৮ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন তাকে দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনীও সমর্থন দিয়েছিল বলে দাবি।
২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে যায় দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি। বেশ কয়েক বছর ধরেই সংকটের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে পাকিস্তান। অর্থনৈতিক ধস ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা মিলিয়ে খাদের কিনারায় চলে গেছে দেশটি। যে কোনো সময় দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। এরই মধ্যে ৯ মে গ্রেফতার করা হয় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। এতে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির সংকট আরও তীব্র হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সংঘাত-সহিংসতা পাকিস্তানে নতুন কোনো ব্যাপার নয়।
জন্ম থেকেই জ্বলছে দেশটি। কালেভদ্রে পাকিস্তানে কোনো সরকার তার মেয়াদ শেষ করার সুযোগ পায় না। ইমরান খানও পাননি। তিনি ক্ষমতা হারালেন প্রথম; তারপর হলেন গ্রেফতার। অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এক ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ইমরান খান। আগাম নির্বাচনের দাবিতে শাহবাজ শরিফের সরকারকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে আসছিলেন তিনি। সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগের খেলা চলছিল। এতে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মাঠে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই ছিল চীনের অন্যতম প্রধান কৌশলগত মিত্র। কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধকালে আমেরিকান বলয়ে ছিল ইসলামাবাদ। নব্বইয়ের দশকে এক মেরুর বিশ্বব্যবস্থার সূচনা হলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক গঠনে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
আর জুনিয়র জর্জ বুশের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তানের পারভেজ মোশাররফের সরকার আমেরিকাকে সব ধরনের সহযোগিতা করলেও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগী হিসেবে ভারতকে প্রতিষ্ঠিত করে। আফগান সামরিক বাহিনী গোয়েন্দা পরিষেবাসহ নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এক প্রকার ভারতের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অন্তর্ঘাতী কাজে ভারত মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকারের সংশ্লিষ্টতা তৈরি হয়, আর যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে স্থান পায় পাকিস্তান।
এসব কারণে পাকিস্তানের মার্কিনবিরোধী মনোভাব ডিপ স্টেটের গভীরে প্রোথিত হয়। আর দেশটির দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতে ইমরান খান গভীর ক্ষমতা বলয়ের সমর্থন পেয়ে তিন বছর আগে পাকিস্তানে সরকার গঠন করেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিভক্ত রাজনৈতিক বাস্তবতায় তিনি নিজেকে পুরোপুরি রাজনীতির নিয়ন্ত্রক অবস্থানে নিতে পারেননি।
তিনি যতই প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন ততই তার বিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তি বিশেষত মুসলিম লিগ নওয়াজ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি কাছাকাছি চলে আসে। এর সাথে থাকে মওলানা ফজলুর রহমানের দল। পাকিস্তানের সরকার সর্বাত্মকভাবে চীন-রুশ অক্ষে চলে যাওয়ার ধারণা তৈরির পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা শক্তি ইসলামাবাদে সরকার পরিবর্তনের কলকাঠি নাড়তে শুরু করে।
তাদের নেপথ্য সমর্থন বিভক্ত বিরোধী দলকে এক সারিতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। ইমরান খান তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার এই আয়োজন সম্পর্কে জানতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রের যে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান সেটিকে সঠিকভাবে রক্ষা করতে পারেননি তিনি। এর ফলে এক এক করে পাকিস্তানের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক স্থানগুলো তার হাতছাড়া হতে থাকে।
পশ্চিমা অর্থনৈতিক বিধিনিষেধের ঝুঁকিতে পড়ে পাকিস্তান। দেশটির সামরিক উন্নতির পক্ষেও ইমরান সরকারকে টিকাতে ভূমিকা রাখার মতো বাস্তব অবস্থা থাকেনি। ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ওঠার পর অস্থিরতা আরো বেড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব অবৈধ ঘোষণার পর ইমরানের পরামর্শে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। সংসদ ভেঙে দেয়ার পর পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র অনুসারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে প্রক্রিয়া তাতে সরকারি দল ও বিরোধী দলকে একমত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী ঠিক করতে হবে। সেটি ব্যর্থ হলে পর্যায়ক্রমে সেটি চূড়ান্ত করার দায়িত্ব অর্পিত হবে সংসদের স্থায়ী কমিটি, নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের ওপর। সংসদ ভেঙে দেয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যেই নতুন নির্বাচন হতে হবে। সংসদ ভেঙে দেয়ার পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করে বিরোধী নেতারা এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এ সংক্রান্ত স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশ ও রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সের শুনানির জন্য পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেছেন।
এর মধ্যে শুনানি শুরু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ সংবিধানের ৬৩(অ) অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা চেয়ে রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সের শুনানি করবে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক বিবেচনা করে জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকারের তা খারিজ করাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সাংবিধানিক সঙ্কটের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নেয়া স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশের ওপরও শুনানি হচ্ছে।
ইমরান খান তার দল থেকে একাধিক এমপির পক্ষত্যাগের পর তার সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর মুখে পড়লে বারবার দাবি করেন যে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পদক্ষেপের পেছনে একটি বিদেশী-সমর্থিত ষড়যন্ত্র ছিল।
মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিদেশী অর্থ লোকদের কেনার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ইমরান খান পদত্যাগ ও অনাস্থার মুখোমুখি হওয়া আর নতুন নির্বাচন দেয়া- এই তিন বিকল্পের মধ্যে শেষটি বেছে নিয়েছেন। কিছুদিন আগ পর্যন্ত বিরোধী দলগুলো পাকিস্তানে নতুন নির্বাচন দাবি করে আসছিল।
সে বিষয়ে ইমরান একমত হওয়ার পরও বিরোধী জোট আর তাতে সম্মত না হয়ে সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সংসদ ভেঙে দেয়ার পর এখন সবকিছু উলটপালট হয়ে যায়। নতুন পরিস্থিতি ইসলামাবাদে বিশাল এক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে। ২২ কোটির বেশি লোকের পারমাণবিক সমৃদ্ধ দেশটি পশ্চিমে আফগানিস্তান, উত্তর-পূর্বে চীন এবং পূর্বে পারমাণবিক প্রতিদ্ব›দ্বী ভারতের মধ্যে অবস্থিত, যা এটিকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং ইসলামপন্থী তালেবানের মধ্যে সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিথিল হয়েছে।
এখন তালেবানরা আবার ক্ষমতায় এসেছে এবং আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার কারণে অর্থনৈতিক ও মানবিক সঙ্কটের সম্মুখীন। কাতার এখন যুক্তিযুক্তভাবে তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিদেশী অংশীদার। সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি থিঙ্কের ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের পরিচালক লিসা কার্টিস-ট্যাংক বলেছেন, ‘তালেবানের বাহক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের প্রয়োজন নেই। কাতার এখন অবশ্যই সেই ভূমিকা পালন করছে।
পাকিস্তান চায় তালেবানরা চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো দমন করার জন্য আরো কিছু করুক এবং তারা এই গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তানে সহিংসতা ছড়াবে বলে আশঙ্কা করছে। ইমরান খান ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তান এবং বিশ্বে চীনের ইতিবাচক ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছেন। ৬০ বিলিয়ন ডলারের চায়না-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের দু’টি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের অধীনে চালু করা হয়েছিল, উভয়ই খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চায়।
আর ইমরান খানকে উৎখাতের জন্য পশ্চিমাদের প্রধান যুক্তি হলো তিনি অতি বেশি চীননির্ভর হয়ে পড়েছেন। বিরোধীদলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের নেতা হিসেবে সরাসরি চীনের সাথে চুক্তি করেন এবং বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলো নিজ প্রদেশে নেয়ার জন্য তার খ্যাতি রয়েছে। ফলে সরকার পরিবর্তন হলেও বেইজিংয়ের সাথে ইসলামাবাদের সম্পর্কে তার প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। তিনি অবশ্য বলেছেন, ভিক্ষুকের পররাষ্ট্র সম্পর্কে পছন্দ অপছন্দ থাকা উচিত নয়।
এবারের রাজনৈতিক অস্থিরতার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে ইমরান খান বেশি দায়ী করেছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক সঙ্কট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অগ্রাধিকার হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদি না এটি ভারতের সাথে ব্যাপক অস্থিরতা বা ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার দিকে পরিচালিত করে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে দায়িত্ব পালনকারী জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র পরিচালক ড. কার্টিস বলেছেন, যেহেতু সামরিক বাহিনী সেই নীতিগুলির ওপর দৃষ্টি রাখে যেগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সত্যই চিন্তার কারণ হয়, যেমন আফগানিস্তান, ভারত এবং পারমাণবিক অস্ত্র। ফলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঘটনাবলি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক।
তিনি উল্লেখ করেন যে, ইমরান খানের মস্কো সফর মার্কিন সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিপর্যয় ছিল এবং ইসলামাবাদে একটি নতুন সরকার অন্তত কিছু মাত্রায় সম্পর্ক সংশোধন করতে সহায়তা করতে পারে। ইমরান খান বলেছেন, সাম্প্রতিক মস্কো সফরের কারণে ওয়াশিংটন তাকে অপসারণ করতে চেয়েছিল। তিনি হুমকির চিঠি পাঠানো মার্কিন কর্মকর্তার নামও প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান যে, দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু থেকে হুমকিমূলক বার্তা পাওয়া গেছে।
বর্তমানে ভারত সফরকারী ডোনাল্ড লু হিন্দুস্তান টাইমসের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে, হুমকিপূর্ণ বার্তা বিতর্ক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেছেন। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং হোয়াইট হাউজ একসাথে ইমরান খানের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে, হোয়াইট হাউজের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর কেট বেডিংফিল্ড ইমরান খানের অভিযোগ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। পাকিস্তানে সংসদ ভেঙে দেয়ার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পেলে সম্ভাব্য নির্বাচনে ইমরান খানের ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। এক জরিপে বলা হয়েছে, বর্তমানে ৫৪ ভাগ পাকিস্তানি ইমরান খানকে সমর্থন করেন। বিরোধী জোট ক্ষমতায় এসে কিছুদিন পরে এই নির্বাচন আয়োজন করা হলে তখন পরিস্থিতি পরিবর্তিতও হতে পারে। ভারতের রাশিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়ায় পাকিস্তানের গুরুত্ব পশ্চিমা বলয়ে কিছুটা বেড়েছে। সেনাপ্রধানের ইউক্রেন আগ্রাসনের ব্যাপারে স্পষ্ট বক্তব্য সে সম্পর্ক আরো বাড়াতে পারে। তবে দেশটির গভীর ক্ষমতা বলয় ইমরান খানকে আবার ক্ষমতায় ফেরাতে চায় কি না সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করা বেআইনি ঘোষণা করে তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এ খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার সাবেক স্ত্রী চলচ্চিত্র প্রযোজক জেমিমা গোল্ডস্মিথ।
পাকিস্তানের বর্তমান সংকটকে নজিরবিহীন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত মালিহা লোথি। ইমরান খানের গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, পুরোটাই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক পতন। বর্তমান পরিস্থিতি একেবারে অসহনীয়। দেশের মানুষ এমনটি কখনো চায়নি। এ অবস্থা আর থাকতে পারে না। অবশ্যই পরিস্থিতি বদলাতে হবে। তবে এই পরিস্থিতি বদলাতে হলে পাকিস্তানকে তাদের দেশ ও জাতিকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে।
আরএক্স/