সালিশ উপস্থিত থাকায় হামলা ও হাতের রগ কর্তন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, ১৪ই মে ২০২৩


সালিশ উপস্থিত থাকায় হামলা ও হাতের রগ কর্তন
সংবাদ সম্মেলন

লক্ষ্মীপুরে সালিশে উপস্থিত থেকে সাক্ষ্য দেওয়ায় রাকিব নামে (১) এক রাজমিস্ত্রি’র হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরো (৬) চার জন আহত হয়েছে। আহতরা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এবং লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। গত ৯ মে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১২ নং চরশাহী ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেছে।


এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ২০১৭ সালে নুর নাহার ও আবদুস সাত্তারের কাছ থেকে বাড়ি সহ ২৪শতাংশ জমি কিনেন শাহিনুর বেগম ও শাহ মো: আব্দুল শহিদ মাষ্টার দম্পতি। মূলত ঐ বাড়ি থেকে এ দম্পতির কর্মস্থল কাছে হওয়ায় বাড়িটি ক্রয় করে তারা। কিন্তু বাড়ির পথ নিয়ে বিরোধের জেরে পাশ্ববর্তী আব্দুল শহীদের নানা অত্যাচারে তারা সেখানে থাকতে পারছেনা। তাই স্থানীয় ভাবে প্রতিকার না পেয়ে শাহিনুর ও শাহ মো: আব্দুল শহিদ দম্পতি লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের আলোকে সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীনকে দায়িত্ব দেন বিষয়টি বসে সমাধানের জন্য। গত মঙ্গলবার (৯মে) বিকালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বৈঠকের মাধ্যমে চলাচলের রাস্তার বিষয় সহ অন্যান্য বিষয়গুলো সমাধান করে উভয় পক্ষকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শহিদ শালিস না মেনে শালিশদারের সামনেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে সন্ধ্যা লগ্নে শালিসদাররা চলে গেলে শহিদ তার দলবল নিয়ে অতর্কিত ভাবে ভুক্তভোগী শাহিনুরের উপর হামলা চালায়। এসময় শালিশে সত্য সাক্ষ্য দেওয়ায় একই বাড়ির শাকিল, রাকিব, মাকছুদ, মিন্টু, পান্না ও প্রমি কে মারধর করে। এতে শাকিল, রাকিব ও মাকছুদ গুরুতর আহত হয়। আহদের চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এবং ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।


স্থানীয়রা বলেন, শহিদ এ পরিবারটিকে নানান ভাবে হয়রানি করছে। কেউ কিছু বলতে গেলে সে বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদান করে। শালিশে সত্য সাক্ষি দেওয়ায় শাকিল, রাকিব ও মাকছুদকে মেরে গুরুতর আহত করে। ভুক্তভোগী শাহিনুর বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ। তাই মাদরাসার কাছাকাছি বাড়ি সহ জমিটি কিনি। কিন্তু পাশ্ববর্তী শহিদের জন্য বাড়িতে থাকতে পারছি না। তার জন্য আমরা আর্থিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এর বিচার দাবি করি।


এ বিষয়ে জানতে শহিদের জানান, শহিদ মাস্টারের সাথে আমাদের সমস্যার মিমাংশা হয়ে গেছে। কিন্তু মিন্টুরা কেন আমাদের সাথে জগড়া করতে আসছে এবং কিভাবে আহত হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে এই ঘটনায় আমরা তিনজন গুরুত্বর আহত হয়েছি। এখনও লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আছি।


ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধান করে আমরা চলে আসছি। এরপর কিছু হয়েছে আমি জানি না।


এ বিষয়ে চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রাজু জানায়, বিষয়টি আমি জেনেছি। যেহেতু মামলা হয়েছে, সেহেতু প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।


 চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।


আরএক্স/