ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের মানুষের পাশে থাকেন এমপি মহিব দম্পতি


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:০২ অপরাহ্ন, ১৫ই মে ২০২৩


ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের মানুষের পাশে থাকেন এমপি মহিব দম্পতি
ছবি: জনবাণী

কলাপাড়া রাঙ্গাবালী দুটি উপজেলা সাগর ঘিরে শহর কিংবা গ্রাম সব যায়গায় থাকে সাগরের আতংক এই বুঝি পানি এসে ভাসিয়ে নিলো সব। আবহাওয়া খারাপ হলে সাগরের গর্জনে এই উপকূলের হাজার মানুষের হয় নির্ঘুম রাত। এভাবে বংশ পরিক্রমায় দিন পার করছেন এই অঞ্চলের মানুষরা। সাগরের সাথে যুদ্ধ করে পার করেছেন বছরের পড়ে বছর, আল্লাহর উপর ভরসা করে এই এখানকার মানুষের বেড়ে ওঠা। 


খরা মৌসুমে সবার সাথে যোগাযোগ থাকলেও দূর্যোগের সময় দেখা যায় ভিন্ন চিত্র, তখনি এইসব এলাকায় ছুটে যান এই এমপি দম্পতি বেড়িবাঁধ থেকে শুরু করে জেলেসহ উপকূলে প্রাই সব যায়গায় ঘুরে দিনের পর দিন। যাকে যেভাবে পারেন বাড়িয়ে দেন সহযোগিতার হাত। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে করেন নিজেই তদারকি।


চর-ধুলাসারের সাগর রক্ষা বেড়িবাঁধটি গতবছর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তিনের দুই অংশ ভেঙে ফেলে সেখানে এই দম্পতি বৈরি আবহাওয়ায় উপজেলা প্রশাসন নিয়ে দুই দিনের চেষ্টায় বাঁধটি সংস্কার করেন। পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বাঁধটি সংস্কার করে দেন লালুয়া বেড়িবাঁধ চরমোন্তাজ মৌডুবীসহ বেশ কয়েকটি ঝুকিপূর্ণ বাঁধে পরিদর্শন করেন এই দম্পতি। 


শুধু দুর্যোগ নয় করোনাকালীন সময় তাদের আবদান মনে রাখবে এই আঞ্চলের মানুষ। সারা পৃথিবী যেখানে করোনাকালীন সময় থমকে ছিলো তখন এই দম্পতি খাবার, কাপড়, ওষুধ নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন মাসের পরে মাস। করোনা দুর্যোগ কাটিয়ে ত্যাগী নেতাদের পাশে থাকতে বেশির ভাগ সময় থাকতে দেখা তাদেরকে নিজ এলাকায় তাদের চিকিৎসা অর্থিক সহায়তাসহ সব সময় তাদের খোঁজ খবর নেওয়া যেন তাদের নিত্যদিনের কাজ। 


এই দম্পতির বাসস্থানে গেলে অবাক করবে সবাইকে, সংসদ সদস্য এভাবে সাদামাটা জীবন যাপন করেন বিশ্বাস হবেনা। অনেকের ড্রয়িং রুম থেকে শুরু করে বাসার সব যায়গায় চলে সাধারণ মানুষের আনাগোনা যা বিগত কোন সাংসদের বাসভবনে দেখেনি এই উপজেলার মানুষ। এই দম্পতির সব চেয়ে বড়গুন হলো তাদের মোবাইল নম্বর দুটি সব সময় সচল রাখেন শ্রমিক কৃষক সরকারি চাকরিজীবি থেকে শুরু করে সবাই তাদের সাথে ফোনে কথা বলেন সারাদিন। কল রিসিভ না করতে পারলেও পরে ফোন করে জেনে নেন তাদের সমস্যা। 


২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন এই সাংসদ আলহাজ্ব মহিব্বুর রহমান (মহিব)। এরপর পটুয়াখালী ৪ আসন কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালীর দুটি বিছিন্ন জনপদের মানুষের ভাগ্য ফেরাতে কাজ করেন দিনরাত এই সফলতায় সব চেয়ে বেশি শক্তি যুগিয়েছেন সাংসদের সহধর্মিনী অধ্যক্ষ ফাতেমা আক্তার রেখা, কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আহবায়ক কলাপাড়া উপজেলা মহিলা লীগ। 


তাকে নিয়ে আর পিছনে তাকাতে হয়নি দিনের পর দিন এলাকার ভাগ্য ফেরাতে কাজ করছেন এই দম্পতি ভাগ্য ফিরিয়েছেন এলাকার উন্নয়নে, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, শেরেবাংলা নৌ ঘাঁটি, সাবমেরিন কেবল স্টেশন, কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল বালিয়াতলী নজরুল ইসলাম ব্রীজসহ এলাকায় সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা চালু রেখেছেন। 


এছাড়াও উপজেলা সরকারি ভবন নির্মাণ এলজিইডি মাধ্যমে রাস্তা পাঁকা রাস্তা করণ জেলেদের ভাগ্য ফেরাতে আলিপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চালু। উপকূলে বিপদ সংকেত পেলেই যেখানে থাকেন ছুটে আসেন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই সাংসদ, তাইতো তাকে আপন করে নিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ হয়েছেন গণমানুষের জনপ্রিয় নেতা। 


সাধারণ মানুষের সুবিধায় কঠোর অবস্থানে থাকেন এই সাংসদ। এলাকায় কোন রকমের চাঁদাবাজি দুর্নীতি শালিস বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছিলেন দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরেই। 


শিক্ষায় তার আবদান চোখে পড়ার মত তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব জালাল উদ্দীন কলেজ যেখান থেকে বছরে হাজারও শিক্ষার্থী বের হয় নিজের অর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত করেন তারা। 


ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রস্তুতির জন্য দুইদিন দুইরাত নির্ঘুমে কাটিয়েছেন সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় পরিদর্শন করে ছিলেন, আলিপুর মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র খোঁজ নিয়েছেন জেলেদের।


ঘূর্ণিঝড়টি আস্তে আস্তে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার খবরে বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত জেলে ও ছিন্নমুল মানুষের মধ্যে একধরনের ভয় এবং শঙ্কা কাজ করছেন তখুনি উপকূলে এমপির আগমনে এবং তাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাসে কিছুটা হলেও সাহস যুগিয়েছিলেন উপকূলের বাসিন্দাদের। 


উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার চিন্ময় হাওলাদার বলেন, মোখার, ফলে উদ্ভুত স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেন সাংসদ তার নির্দেশে ইউনিয়ন ভিক্তিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। খাবার স্যালাইন, ডায়রিয়া রোগীদের জন্য ১১ হাজার স্যালাইন দেন তাদের পারিবারিক অর্থয়ানে সার্বক্ষনিক এ্যাম্বুলেন্স, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামসহ এসব মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছিলেন তিনি। 


এমপি মহিব্বুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ১৯টি মুজিবকেল্লা ও ১৫৬ টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য বিপদগ্রস্থ মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার জন্য ঘূর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসূচি সিপিপি’র ১৫৮ জন টিম লিডারের নেতৃত্বে ৩১৬০ জন সদস্য প্রস্তুত রয়েছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আমাদের হেফাজত করেছেন এত বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছি তবে যত বড় দুর্যোগ আসুক না কেন আমরা মানুষের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ। 


তিনি আরও বলেন, প্রকৃতিক দুর্যোগে সমাজের অসহায় হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে, দেশের বিত্তবান শ্রেণিকে এগিয়ে আসতে হবে। দরিদ্র মানুষের উন্নয়নের মাধ্যমেই একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন চোখে পড়ে। তাই সবাইকে দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তবেই আমরা স্বাধীনতার সুফল দ্রুত সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারব। বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি আধুনিক উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করবে।