মিয়ানমারে ‘মানুষ বন্ধক’ রেখে ইয়াবা আনা জকির সহযোগীসহ গ্রেফতার


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ১৭ই মে ২০২৩


মিয়ানমারে ‘মানুষ বন্ধক’ রেখে ইয়াবা আনা জকির সহযোগীসহ গ্রেফতার
ছবি: জনবাণী

মিয়ানমারের ডিলারের কাছে ‘মানুষ বন্ধক’ রেখে চোরাইপথে বাংলাদেশে ইয়াবা আনা টেকনাফের জাকির আহমেদ জকিরকে সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১৫। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ৪০ হাজার ইয়াবা।


মঙ্গলবার (১৬ মে) দিনগত মধ্যরাতে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের আল মাছিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার মসজিদের সামনের রাস্তায় এ অভিযান চালানো হয়।


গ্রেফতার জাকির আহমেদ জকির (৩৯) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাজমপাড়া এলাকার মৃত সালেহ আহমদের ছেলে। তার সহযোগী মো. ইসমাইল (৩৫) একই এলাকার নুরুল বসরের ছেলে। এর মধ্যে জকিরের নামে টেকনাফে থানায় ৫ টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।


র‌্যাব ১৫ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, গত ১৫ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জসিম নামক একজন বাংলাদেশী নাগরিককে মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলার কর্তৃক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভাইরাল ভিডিওতে কথিত জসিম নিজেই জানায় টেকনাফ হাজম পাড়ার সালেহ আহমদের ছেলে জকির নামক ইয়াবা ব্যবসায়ী তাকে মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলারের নিকট বন্ধক রেখে ২৫ লাখ টাকার ইয়াবা নিয়ে আসে। ইয়াবার টাকা পরিশোধ না করায় ইয়াবা ডিলাররা জসিমকে শারীরিক নির্যাতন করে। 


ভিডিও প্রকাশের পরেই সংশ্লিষ্ট মাদক কারবারিরা আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাবের দৃষ্টিগোচরে আসার পর র‌্যাব-১৫ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ র‌্যাবের আভিযানিক দল অভিযান অব্যাহত রাখে।


তিনি জানান, সূত্র ধরে র‌্যাব জানতে পারে জকির মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে সাগর পথে মহেশখালী হয়ে চৌফলদন্ড ঘাটে আসবে এবং ওখান থেকে ঈদগাঁওতে ইয়াবা চালান পৌঁছে দেবে। এমন খবরে র‌্যাব ১৫ মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাতে আল মাছিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার মসজিদের সামনে তল্লাশী অভিযান মুরু করে। এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা সিএনজি থেকে নেমে দুইজন ব্যক্তি কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে র‌্যাবের আভিযানিক দল তাদের করে। পরে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪০ হাজার ইয়াবা। এরপর তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জকির জানায় সে টেকনাফ ও উখিয়া থানা এলাকার ইয়াবা গডফাদার এবং তার সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোককে সীমান্তবর্তী মায়ানমার এলাকায় বন্ধক রেখে ইয়াবার বড় বড় চালান নিয়ে আসে। এব্যাপারে মামলা করে ২ জনকে কক্সবাজার সদর থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।