অভাবের তাড়নায় ৭ দিনের শিশুসন্তান বিক্রি
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কাহালগাঁও গ্রাামে অভাবের কারণে ৭ দিনের শিশু পুত্র সন্তান বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে নোয়াখালীর এক নিঃসস্তান দম্পতি মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে ৭ দিনের শিশু সন্তান কিনে নিয়ে যান বলে শিশুর পিতা আব্দুল খালেক স্বীকার করেছেন। ৭ দিনের শিশু বিক্রির মধ্যস্ততা করেন দীপ্ত অর্কিড লিমিটের কর্মচারী জাকির হোসেন।
উপজেলার কাহালগাঁও গ্রামের আব্দুল খালেক ও কল্পনা আকতার দম্পতির ৪ সন্তানের মধ্যে হযরত আলী নামের দেড় বছরের শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু সন্তান রয়েছে। ৭ দিন আগে ঐ দম্পতির ঘরে সোয়াত ইসলাম নামের এক পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে দীপ্ত অর্কিড লিমিটেডের কর্মচারী জাকির হোসেনের মধ্যস্থতায় ৫০ হাজার টাকায় ৭ দিনের শিশুটিকে নোয়াখালীর এক নিঃসন্তান দম্পত্তির কাছে অভাবের কারনে বিক্রি করে দেন। ঐ দম্পতির নাম ঠিকানা জানা যায়নি। মঙ্গলবার সকালে ৭ দিনের শিশু নিয়ে নোয়াখালী চলে গেছেন ঐ দম্পত্তি।
বিষয়টি স্বীকার করে শিশুটির পিতা আব্দুল খালেক বলেন, আমি দরিদ্র অসুস্থ মানুষ। সন্তানের ভরনপোষন করতে পারি না। তাই বিক্রি করে দিয়েছি।
শিশুটির দাদী জুলেখা বলেন, মিছামিছি বলতে পারবো না আমার ছেলে অসুস্থ মানুষ সন্তানের ভরনপোষন করতে পারে না, না খেয়ে থাকতে হয়। নিঃসন্তান ঐ দম্পত্তি টাকাসহ শাড়ী লুঙ্গি আমাদের দিয়ে শিশু সন্তান নিয়ে গেছে। শিশুটি বিক্রির মধ্যস্ততাকারী জাকির হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সংবাদকর্মী কাদের জানান, আমার বাড়ীর পাশে ঘটনা। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৭ দিনের শিশু বিক্রি করার ঘটনা ঘটেছে। তবে ঐ দম্পত্তি অভাবের কারনেই ৭ দিনের শিশু বিক্রি করেছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার ছাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমাকে জানায় নাই।
এনায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বুলবুল হোসেন বলেন, 'অভাবের কারনে ৭ দিনের শিশু বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি অমানবিক'।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম বলেন, আমি বিষয়টি জানিনা খোজ নিয়ে সহযোগিতার ব্যবস্থা করবো।
এসএ/