প্রিপেইড মিটার বন্ধ ও ডিজিএমকে অপসারণের দাবিতে রূপগঞ্জে বিক্ষোভ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:১২ অপরাহ্ন, ২১শে মে ২০২৩


প্রিপেইড মিটার বন্ধ ও ডিজিএমকে অপসারণের দাবিতে রূপগঞ্জে বিক্ষোভ
ছবি: জনবাণী

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবি ও পল্লী বিদ্যুতের তারাব জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফারজানা ইয়াছমিনকে অপসারণের দাবিতে তারাব জোনাল অফিস ঘেরাও করেছে গ্রাহকরা। এ সময় তারা বিদ্যুতের অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন। 


রবিবার (২১ মে) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা সাধারণ গ্রাহক বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে রাখে। 


এ সময় জুবায়ের, শরীফ, আমেনা, সালেহাসহ গ্রাহকরা অভিযোগ করে জানান, বিদ্যুতের তারাব জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফারজানা ইয়াছমিনের সঙ্গে সাধারণ গ্রাহকরা কথা বলতে গেলেই তিনি তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও গালিগালাজ করেন। গত কয়েক মাস ধরে তারার পৌরসভায় পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম প্রিপেইড মিটার লাগানো হচ্ছে। প্রিপেইড মিটার গ্রাহক টাকা বেশি কেটে নিচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এছাড়া প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জেও পোহাতে বিভিন্ন ভোগান্তি। এছাড়া আগে ডিজিটাল মিটারের ভাড়া ছিল ১০ টাকা কিন্তু প্রিপেইড মিটারের ভাড়া ৪০ টাকা। হঠাৎ করে মিটারের ভাড়া ৪ গুন হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মাঝে যদি এভাবে বিদ্যুতের বিলও বেশি আসে তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে। প্রিপেইড মিটার দেওয়ার পর থেকে অনেকে সংসারের না করে মিটার টাকা রিচার্জ করতে হচ্ছে। 


তারা আরও জানান, অনেকেই লেখাপড়া জানে না। এ কারণে মিটারে টাকাও রিচার্জ করতে না পারায় দোকানে গিয়ে টাকা রিচার্জ করতে তাদের। সেক্ষেত্রে মিটারে রিচার্জের জন্য দোকানদারকে দিতে হয় অতিরিক্ত ২০-৩০ টাকা। যেটি সাধারণ মানুষের জন্য ভোগান্তির আরেক নাম। এসকল ভোগান্তিতে থেকে মুক্তি পেতে তারা এলাকা গুলো থেকে প্রিপেইড মিটার তুলে নেওয়ার দাবি জানান তারা। এছাড়া ডিজিএম ফারহানা ইয়াসমিন গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এ কারণে তারা তার অপসারণের দাবি জানান কর্তৃপক্ষের কাছে। 


এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফারজানা ইয়াছমিন বলেন, আমি সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করি এ ব্যাপারটি মিথ্যা। তবে যারা অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করে তাদের ব্যাপারে কোন ছাড় দেই না। তারাই আমার ব্যাপারে এসব বলছে। বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রিপেইড মিটার লাগাচ্ছি। প্রিপেইড মিটার বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে বিষয়টি সঠিক নয়। তবে আগে ডিজিটাল মিটারের ভাড়া ছিল ১০ টাকা কিন্তু প্রিপেইড মিটারের ভাড়া ৪০ টাকা এটি মন্ত্রনালয় করেছে। এখানে আমাদের কোন হাত নেই। যেহেতু প্রিপেইড মিটার নতুন একটি সিস্টেম প্রথমে ব্যাবহারে সাধারণ মানুষকে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে যা পরবর্তীতে ঠিক হয়ে যাবে। 


নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মাশফিকুল হাসান বলেন, ডিজিএম ফারজানা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে কেউ যদি সুনির্দিষ্টভাবে কোন লিখিত অভিযোগ করে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। 


প্রিপেইড মিটারের ভাড়া ৪ গুন বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, ডিজিটাল মিটারের চেয়ে প্রিপেইড মিটারের দাম বেশি হওয়ার কারণে এ মিটারের ভাড়া বেশি। 


জেবি/ আরএইচ/