ইবির তিন হলে ন্যাপকিন ভ্যান্ডিং মেশিন স্থাপন
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:০৯ অপরাহ্ন, ২২শে মে ২০২৩
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেয়েদের তিন আবাসিক হলে স্যানেটারি ন্যাপকিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে এলজি কোম্পানির সহায়তায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হাইজিন সেনিটারি ন্যাপকিন ভ্যান্ডিং মেশিন স্থাপন করেছে ক্যানার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন (ক্যাপ)।
সোমবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত টিভি কক্ষে যৌথভাবে ‘কান্ডারি ও ক্যাপ’ ভ্যান্ডিং মেশিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথীর সভাপতিত্বে এবং মেহেরুন নেসা মীমের সঞ্চালনায় এসময় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলজি ইলেকট্রনিক্স, বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের হেড অফ কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং মাহমুদুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. শেলীনা নাসরিন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ড. দেবাশীষ শার্মা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান এবং ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাম্মী আক্তার।
ক্যাপের সভাপতি সিয়াম মির্জা বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলগুলো সন্ধ্যার পরপরেই বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কারোর জরুরি প্রয়োজন হলেও একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা কষ্টসাধ্য। এইসব বাধা কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে এলজি ইলেকট্রনিকসের সহায়তায় ক্যাপ তিনটি ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করেছে। প্রাথমিক অবস্থায় তিন হলে তিনটি মেশিন বসালেও আমাদের ভবিষ্যতে পরিকল্পনা হচ্ছে প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি সহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় মেশিন বসানো।
খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, মেনোপজ প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক বিষয়। বাইরের দেশে যখন নারীদের মেনোপজ হয় তখন তারা আপসেট থাকে কিন্তু আমাদের দেশের নারীদের যখন হয় তখন তারা দারুণ খুশি।এই বোধের জায়গা থেকে আমাদের নিজেদের বেরিয়ে আসতে হবে। আশাকরি এলজির এই সহযোগিতা আমাদের মেয়েদের অনেক উপকারে আসবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, এই ক্যাপের সদস্যরা বছরঅনেক আগে হলগুলোতে ভ্যান্ডিং মেশিন বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিলো যা করোনায় দীর্ঘসময় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারনে সম্ভব হয়নি।আসলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থান করায় অনেককিছুই এখানে সহজলভ্য নয়। তো এটি এখন আমাদের হাতের নাগালে আসলো। আশাকরি আমাদের ছাত্রীরা যখন এটি ব্যবহার করবে তখন নিজেদের মধ্যে সচেতনতা থাকবে।
প্রধান অতিথি মাহমুদুল হাসান বলেন, গ্রামের অনেক ইয়ুথ আছে যারা অনেক ভালো কাজের সাথে সম্পৃক্ত কিন্ত ফান্ডিংয়ের অভাবে কাজ করতে পারে না। তাদের কথা চিন্তা করেই আমরা ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এলজি অ্যাম্বাসেডর চ্যালেঞ্জ প্রোগ্রামটি শুরু করি। এই প্রোগ্রামটির মাধ্যমে এখানের তিনটি হলে ভ্যান্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আশা করি এটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
জেবি/ আরএইচ/