চুরি করে দর্শনা কেরুজ সুগার মিলের গাছ কর্তন, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


চুরি করে দর্শনা কেরুজ সুগার মিলের গাছ কর্তন, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরুজ চিনিকলের বয়লারে খড়ির প্রয়োজনে মরাগাছের ডাল কাটার অযুহাতে ৫ লাখ টাকা মূল্যের ২২টি শিশুগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দেলোয়ার হোসেন ও খামার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম টুটুলের বিরুদ্ধে। 

ঘটনা জানাজানি হলে তারা কর্তনকৃত গাছের নিচের অংশ ঢেকে প্রমান লোপাটের অপচেষ্টাও চালিয়েছে। এদিকে অভিযুক্তদের ভয়ের কোন কারণ নেই বলে জৈনক এক কর্মকর্তা তাদেরকে আশ্বস্থ করেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।  

জানা গেছে, দর্শনা কেরুজ চিনিকলের মাড়াই মৌসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই বয়লারের জ্বালানির জন্য খড়ি ক্রয় করে থাকে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২০-২১ মাড়াই মৌসুমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠনের নিকট থেকে ১১শ মেট্রিক টন খড়ি ক্রয় করা হয়। মাড়াই কার্যদিবস শেষ হবার আগেই ক্রয়কৃত মজুদ খড়ি শেষ হয়ে যায়। চিনিকলের মাড়াই কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ নিজেস্ব কৃষি খামারের থাকা মরা এবং শুকনা গাছ ও গছের ডাল কাটার নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। 

এর জন্য কর্তৃপক্ষ বীজ পরিদর্শন ও কৃষিতত্ব বিভাগের ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে মহা-ব্যবস্থাপক (অর্থ) জাবেদ পাটোয়ারী, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মাসুম বিল্লাহ ও জহির উদ্দিনের (ভুমি) সমন্বয়ে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠণ করে দেন। অভিযোগ উঠেছে কমিটির প্রধান দেলোয়ার হোসেন ও খামার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম টুটুল মরাগাছ এবং গাছের ডালকাটার অযুহাতে আকন্দবাড়িয়া বীজ উৎপাদন খামারের প্রায় ৫ লাখ টাকার মূল্যবান ২২টি শিশু ও আম কাঠাল গাছ চুরি করে কেটে ফেলেন। কর্তনকৃত গাছের কিছু অংশ বয়লারের জ্বালানি হিসাবে চিনিকলে সরবরাহ করেন এবং গাছের মূল্যবান অংশ আত্মসাত করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে গাছের মূল্যবান অংশ কোথায় রেখেছেন এবং কার জন্য ? 

এ ব্যাপারে কমিটির প্রধান বীজ পরিদর্শন ও কৃষিতত্ব বিভাগের ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি কোন গাছ কাটেনি, গাছের ডাল কেটেছি।

তাহলে কাটা গাছের গুড়ি মাটি দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালানো হয়েছে কেন ? এর উত্তরে তিনি বলেন, মোবাইলে সব বলা যাবে না। সাক্ষাৎতে বলব। 

এদিকে অভিযুক্তদের রক্ষা করতে চিনিকলের জৈনক কর্মকর্তা ভয়ের কোন কারণ নেই বলে আশ্বাস্থ করেছেন দেলোয়ার ও টুটুলকে। কর্মকর্তার এমন আচরণে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। 

চিনিকলের ব্যবস্থপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন জনবাণীকে বলেন, আমি যতটকু জেনেছি একটি মরাগাছ কাটা হয়েছে। এরপরও যখন গাছ কাটা নিয়ে নানা কথা উঠছে তখন সরেজমিনে তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হবে।

এসএ/