ভোলায় প্রচুর গ্যাস থাকা সত্বেও ভোলার মানুষের চাহিদা মেটাতে নেই কোন প্রতিশ্রুতি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৫২ অপরাহ্ন, ২৪শে মে ২০২৩


ভোলায় প্রচুর গ্যাস থাকা সত্বেও ভোলার মানুষের চাহিদা মেটাতে নেই কোন প্রতিশ্রুতি
গ্যাস

বাংলাদেশের বিখ্যাত দ্বীপ জেলা ভোলা। ভোলার চারদিকে যেমন ছেয়ে আছে নদী আর নদী। চারদিকে নদী বেষ্টিত এ জেলাটির নাম ভোলা হলেও জেলাটি বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত দ্বীপ জেলা ও বটে। দ্বীপের রাণী ভোলার চারপাশ নদী বেষ্টিত হলেও এ ভোলা যেন এখন গ্যাসের ছড়াছড়ি। এক সময় ভোলাকে বাংলাদেশের দ্বীপ জেলা হিসেবে অনেকে চিনলেও বর্তমানে চিনে প্রাকৃতিক “গ্যাসক্ষেত্র” হিসেবে। একের পর এক গ্যাসের নতুন- নতুন কূপের সন্ধান পেলেও এ গ্যাস একদিকে যেমন ভোলার মানুষের পুরোপুরি চাহিদা মেটাতে পারছে না। অন্যদিকে আবার ভোলা মানুষের কাজে লাগাতে বা চাহিদা মেটাতে নেই কেমন কোন প্রতিশ্রুতি বা কাজের কোন অগ্রগতি। 


ভোলায় ২০১৭ সালে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কারের পর থেকে বর্তমানে ভোলায় রয়েছে ০৯ টি গ্যাস ক্ষেত্র। ২০২২ সালে এসেও ভোলায় ইলিশা-১,ভোলা উত্তর -২ ও টবগী -১ নামে তিনটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কার হয়।এ সকল গ্যাসকূপে মজুদ রয়েছে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন গ্যাস।শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সাপ্লাই হচ্ছে কয়েক বছর ধরে।ভোলার উৎপাদিত গ্যাস শুরুতে ভোলাতে সাপ্লাইয়ের উদ্যোগ নিলেও জাতীয় গ্রিডের কথা চিন্তা করে ভোলায় সংযোগ টানা বন্ধ করে দেয় বাপেক্স।বর্তমানে নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হওয়ায় ভোলার গ্যাস বরিশাল হয়ে খুলনা ও ঢাকা,ময়মনসিংহ ইত্যাদি জেলায় দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে।


অথচ দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন ২০ লক্ষ ভোলাবাসীর যোগাযোগ, চিকিৎসা, শিক্ষা ব্যবস্থায় নেই কোন উদ্যোগ।নেই কোন বিশ্ববিদ্যালয়, নেই কোন মেডিকেল কলেজ। আর বাংলাদেশের অন্য কোন জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ না থাকায় একটু ঝড় বৃষ্টি হলেই ভোলার বাহির থেকে ভোলাতে বা ভোলা থেকে বাহিরে বেরোনোর কোন উপায় থাকে না।ছুটি নদীর পাড়ে অপেক্ষায় থেকে, নির্ঘুম রাত মশার কামড় খেয়ে, কেটেছে বহুদিন ।এজন্য ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রানের দাবী ভোলা-বরিশাল ব্রীজ। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও বাস্তবায়নে নেই কোন কার্যকরী উদ্যোগ।নদী ভাঙ্গন ভোলার আরেকটি বড় সমস্যা।ভোলার পূর্ব দিকের মেঘনা নদীর ভাঙ্গনদ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ইলিশা,ধনিয়া,দৌলতখান, বোরহানউদ্দিনের কিছু এলাকায় নদী ভাঙ্গনরোধ কিছু চেষ্টা হলেও ভোলা সদরের পশ্চিমে তেতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন নিয়ে একেবারেই যেন নির্লিপ্ত,উদাসীন কর্তৃপক্ষ। আমরা ভোলাবাসী নদীভাঙ্গন রোধকল্পে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবী জানাচ্ছি।


ভোলার রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক গ্যাস,প্রাকৃতিক সম্পদ।কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলেই ভোলায় গড়ে উঠতে পারে বিভিন্ন শিল্প কারখানা। নদী যোগাযোগ ভালো হওয়াতে কাঁচামাল পরিবহনও সুবিধাজনক। এতে ভোলার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে বেকারত্ব সমস্যা দূর করার জোর দাবী এখন ভোলার গ্যাস ভোলায় চাই কমিটির পাশাপাশি আপামর ভোলা বাসীর।