রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করতে টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৫২ অপরাহ্ন, ২৫শে মে ২০২৩


রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করতে টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল
মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল

সম্ভাব্য প্রত্যাবাসনের বিষয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল।  


বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৯টার পর টেকনাফ পৌরসভা জালিয়াপাড়ারস্থল টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে কার্গো ট্রলারে মিয়ানমারের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফরে আসে। এ সময় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছু দৌজাসহ সরকারি কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।  


মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিল দেশটির মিনিস্ট্রি অব সোস্যাল অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ।


অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছু দৌজা বলেন, ‘সম্ভব্য প্রত্যাবাসন সামনে রেখে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে মিয়ানমারের ১৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল আসছে। এ ছাড়া ঢাকায় মিয়ানমার অ্যাম্বাসেডরের দুই জন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।


টেকনাফ পৌঁছার পর প্রতিনিধিদলটি টেকনাফের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদলটি মিয়ানমার ফেরত যেতে পারেন।


এ বিষয়ে ১৬-এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তারা টেকনাফের শালবাগান ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন।’


এদিকে গত ৫ মে বাংলাদেশ সরকার ও রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল রাখাইন সফর করে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন। এর আগে ১৫ মার্চ মিয়ানমার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। সে সময় প্রায় ৪৮০ জন রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে মিয়ানমার ফিরে যায় প্রতিনিধি দলটি।


প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্পে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তাদের রাখাইনে ফেরত নিতে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। চুক্তি স্বাক্ষর করলেও রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি। এই কমিটি দুটি সভা করলেও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমার ফেরত যাননি।


আরএক্স/