ক্ষেতলালে চলতি মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে অসন্তোষ কৃষক


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৩৮ অপরাহ্ন, ২৭শে মে ২০২৩


ক্ষেতলালে চলতি মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে অসন্তোষ কৃষক
ইরি-বোরো মৌসুম

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে চলছে আগাম ইরি-বোরো মৌসুমের ধান কাটার কাজ। ধানের ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে অসন্তোষ কৃষকেরা। 


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি ২০২২-২০২৩ মৌসুমে ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই  লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর। গত বছর বোরো চাষাবাদ হয়েছিল ১০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। এবছর উপজেলায় বিভিন্ন উচ্চফলনশীল ধানের মধ্যে রয়েছে ব্রি-৮১. ৮৯, ৯২ এছাড়াও আতব, জিরাসাল, কাটারি, শুভলতা কাজললতা ইত্যাদি। 


শনিবার (২৭ মে) সকালে পৌর এলাকার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, মাঠ জুড়ে অর্ধেক ধান কাটা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অতিরিক্ত গরমে কষ্ট হলেও কাটা, মাড়াই আর পরিবহনের কাজে ব্যস্ততম দিন পার করছে গ্রামের কৃষকেরা। 


দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শ্রমিক এসেছে ধান কাটার কাজ করতে। পরিবারে পুরুষদের পাশাপাশি বসে নেই নারীরাও। ধান শুকিয়ে ঘরে তোলার আনন্দে সকল কাজে সহযোগিতা করছে পরিবারের পুরুষদের। 


ধান বিক্রি করতে আসা পৌর এলাকার বুড়াইল গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, বাজারে এক মণ ধানের দাম এক হাজার আশি- এগারো শো  টাকা। অন্যদিকে শ্রমিকের মজুরি বেশি এরপর আবার সার ও কীটনাশকের দামও অনেক বেশি। ধানের দাম না বাড়ালে কৃষক বাঁচবে কি করে।  


এছাড়াও ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক আব্দুল খালেক, রবিউল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বলেন, চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু ধানের বাজার দাম অনেক কম।


এদিকে ধান ব্যবসায়ী পৌর এলাকার আজাদুল ইসলাম বলেন, গত মৌসুমের ধান ও চাল এখনো মজুত আছে। মিলাররাও এখনো নতুন ধান কেনা শুরু করেননি। এ কারণে চালের বাজার নিম্নমুখী। মূলত এই কারণে ধানের দাম কম। আজ  বি-আর আশি, ঊননব্বই, বিরানব্বই মানভেদে  এক হাজার আশি টাকা- এক হাজার একশো টাকা। এবং কাটারি ভোগ ধান মানভেদে এক হাজার একশো টাকা - এক হাজার একশো বিশ-ত্রিশ টাকা পর্যন্ত কিনতেছি। 


ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, এবছর চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হওয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় সোনালী বোরো ধান সুন্দরভাবে ঘরে তুলতে পারছে কৃষকেরা। কাটা-মাড়াইয়ের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই উপজেলায় ৬০% ধান কাটার কাজ শেষ। 


আরএক্স/