স্ত্রী-শালীর নির্যাতনে দিনমজুর হাসপাতালে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


স্ত্রী-শালীর নির্যাতনে দিনমজুর হাসপাতালে

স্ত্রী-শালী ও শ্যালকের নির্মম নির্যাতনের শিকার (রক্তাক্ত জখম) হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল কাদের (৩০) নামের এক দিনমজুর। নির্যাতন সইতে না পেরে তিনজনের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। স্ত্রীর বিরুদ্ধে কথায় কথায় মারধর, অকথ্য ভাষায় গালাগালি, তালাক দেয়ার হুমকিসহ নানা অভিযোগে এনে শনিবার দুপুরে (১৯ ফেব্রুয়ারী) লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানায় ভুক্তভোগী স্বামী দিনমজুর আবদুল কাদের বাদী হয়ে এ অভিযোগ করেন। 

আহত আবদুল কাদের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউপির উত্তর কেরোয়া গ্রামের মেহজান বেপারি বাড়ির মৃত তোফায়েল আহাম্মদের ছেলে।  তিনি রায়পুর শহরের এক দোকান পেইন্টার মিস্ত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আবদুল কাদের প্রায় দুই বছর আগে পৌরসভার রায়ি বাড়ির মৃত হানিফ মিয়ার মেয়ে রোজিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক বছর বয়সি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই রোজিনা তার বাবার বাড়িতেই বসবাস করছেন। বিয়ের পর জানতে পারেন তার স্ত্রীর তিন বিয়ে হয়েছে। এসব নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়। কাদের তার শশুর বাড়িতে স্ত্রীকে আনতে গেলে কখনই সে আসতো না। তুচ্ছ ঘটনায় রোজিনা তার গায়ে হাত তোলেন ও মারধর করেন। প্রায় সময় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তাকে তালাকের হুমকি দেন। এমনকি স্ত্রীকে বকা দিলে তিনি নারী নির্যাতন মামলার হুমকির দিয়ে আসছেন। বিয়ের পরও শারীরিক, মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাদের জনবাণীকে বলেন, বিয়ের পর থেকেই বউয়ের নির্যাতন সহ্য করে আসছি। বউকে আনতে শুক্রবার শশুর বাড়ি যায়।  শনিবার ভোরবেলায় হঠাৎ করে রোজিনা, তার বোন ববিতা ও ভাই সোহেল আমাকে ঘুমের মধ্যেই কাঠ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমি চিৎকার দিয়ে ওই বাড়ির পাশের খাল পার হয়ে নিজের বাড়িতে এসে হত্যা থেকে রক্ষা পাই। পরে আমার বড় ভাই রায়পুর সরকারি হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। রোজিনার নির্যাতন সইতে না পেরে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। রোজিনা প্রায়ই আমাকে হুমকি দেয় নারী নির্যাতন মামলা করে জেলের ভাত খাওয়াবে। তার অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। আমি বাঁচতে চাই-আমাকে বাঁচান।

অভিযুক্ত রোজিনা আক্তার তার দুই বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, দুই বছর আগে বিয়ের সময়ই আবদুল কাদেরকে বলা হয়েছে আমাদের বাড়িতে ঘরজামাই থাকবে। কারন তার বাড়িতে ঘর নাই। মিথ্যা অজুহাত দিয়ে সে আমাকে মারধর করতো। এ নিয়ে আমার ছোট বোন বাঁধা দেয়ায় তাকে ও আমাকে বেদম মারধর করেন। নিজের বাড়িতে পালিয়ে যাওয়ার সময় অন্ধকারে ভবনে আঘাত পায়। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।

রায়পুর থানা ওসি শিপন বড়ুয়া জনবাণীকে বলেন, নির্যাতনের শিকার আবদুল কাদেরের অভিযোগটি পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসএ/