বইমেলায় সাড়া ফেলেছে ডা. জাহাঙ্গীরের দুইটি বই


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বইমেলায় সাড়া ফেলেছে ডা. জাহাঙ্গীরের দুইটি বই

মানুষ বেঁচে থাকে কর্মের মধ্যমে। পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক মানুষের নাম লেখা থাকে ইতিহাসের পাতায়। যুগে, যুগে পৃথিবীতে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পিসহ নানা প্রতিভাবান মানুষ এসেছেন। শত ব্যস্ততার মধ্যও শিল্প, সংস্কৃতি ও সাহিত্যকে ভালোবেসে নিরলস ভাবে চালিয়ে গেছেন তাদের চর্চা। তাদের মধ্যে একজন ডা. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস। তিনি চিকিৎসা দিয়ে জয় করেছেন চুয়াডাঙ্গার মানুষের মন। এবার মহান ২১শে বই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে তার দুটি বই ‘ইতিহাসের খোঁজে তিন গোয়েন্দা’ এবং ‘বাংলার মধুমাস’। ইতোমধ্যে বই দুইটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বইমেলায়।  



১৯৮২ সালে ১৫ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। তার শৈশব কেটেছে পোত্রিক নিবাস একই উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামে। তিনি মৃত আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, উম্মে কুলসুমের জ্যোষ্ঠ সন্তান। তিনি কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস,এস,সি পাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে কুষ্টিয়া মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল হতে ডি,এম,এফ এবং ফাষ্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধীনে পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট হতে বি,পি,এইচ, কোর্স সমাপ্ত করেন। বর্তমানে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন।



ছোট বেলা থেকেই সাহিত্য চর্চার প্রতি তার অনুরাগ ছিল। ২০১৬ সালে প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই "বুনো ঝোপে বৃষ্টি এলো", ওই বছরেই বই মেলাই বইটি ব্যাপক সাড়া ফেলে। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় কবিতার বই "ফুলের হাঁসি"। ২০১৯ সালে তার প্রকাশিত "আমার সোনার বাংলা ও "ভন্ড শিয়ালের কান্ড" নামে দুটি বই।

২০২২ সালে ২১ শে বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে লেখকের অনুসন্ধানী মূলক গ্রন্থ "ইতিহাসের খোঁজে তিন গোয়েন্দা ও কাব্যগ্রন্থ " বাংলার মধু মাস" নামে দুটি বই। কবির লেখা বই দুটি সুধিমহলের নজর কেড়েছে। বিশেষ করে স্বাধীনতা নিয়ে লেখা "ইতিহাসের খোঁজে  তিন গোয়েন্দা" বইটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

বাংলার সাহিত্য চর্চায় নিরলসভাবে কাজ যাবেন ডা. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস এই প্রত্যাশা সাহিত্যমোদি ও সুধিমহলের।

এসএ/