আবারও পাকিস্তানি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে, এবার যা যা এলো
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২২ অপরাহ্ন, ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪
দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তান থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে কনটেইনারবাহী জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’। জাহাজটিতে চিনি, আখের গুড়, ডলোমাইট, সোডা অ্যাশ, থ্রি-পিস, খেজুর ছাড়াও নানান ধরনের পণ্য এসেছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে কনটেইনারবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে ৮১১ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি রওনা দেয়। এসব পণ্যের ৮৬ শতাংশই পাকিস্তান থেকে এসেছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: আবারও বেড়েছে আলুর দাম, স্বস্তি নেই সবজিতেও
এই জাহাজটিই সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে প্রথমে পাকিস্তান এবং পরে ৩৭০টিইইউস কনটেইনার নিয়ে গত ১১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। সেসময় জাহাজটির বিভিন্ন কনটেইনারে সোডা অ্যাশ, ডলোমাইট চুনাপাথর, ম্যাগনেশিয়াম ভাঙা কাচ, কাঁচামাল কাপড়, রং, গাড়ির যন্ত্রাংশ, পেঁয়াজ, আলু, খেজুর, জিপসাম, পুরোনো লোহার টুকরা, মার্বেল ব্লক, কপার ওয়্যার, রেজিন এবং মাদক হুইস্কি, ভদকা ও ওয়াইন ছিল। ১২ নভেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে। ওইসময় তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ফের সেই একই জাহাজ করাচি থেকে চট্টগ্রামে এসেছে দ্বিগুণেরও বেশি পণ্য নিয়ে। যদিও এর আগে পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রামে পণ্য আনা-নেওয়া হতো তৃতীয় কোনো বন্দরের মাধ্যমে।
জাহাজটিতে এবার আরব আমিরাত ও পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছে ৮১১ একক কনটেইনার পণ্য। যা জাহাজটির প্রথম ট্রিপের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। এর মধ্যে ৬৭৮ একক কনটেইনার পণ্যই এসেছে পাকিস্তান থেকে। দেশটি থেকে এবার সবচেয়ে বেশি এসেছে পরিশোধিত চিনি ও খনিজ পদার্থ ডলোমাইট।
পাকিস্তান থেকে এবার ২৮৫ কনটেইনারে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২০০ ব্যাগ চিনি আনা হয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৭ হাজার টন।
আরও পড়ুন: শীতকালীন সবজিতে বাজার সয়লাব, দাম নাগালের বাইরে
এছাড়া শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো এনেছে কাপড়ের রোল। মোট ৪৬টি কনটেইনারে রয়েছে কাপড়ের রোল। আলু আমদানি হয়েছে ১৮ একক কনটেইনারে। এছাড়া জয়পুরহাটের পিঅ্যান্ডপি ট্রেডিং ২০ কনটেইনারে আখের গুড় এনেছে। এসব পণ্যের পাশাপাশি পুরোনো লোহার টুকরা, রেজিন, থ্রি-পিস ইত্যাদি পণ্য আমদানি হয়েছে।
আরএক্স/